রাজ্য ছাত্র ভোটের বিরুদ্ধে নয়, নির্বাচন করানোর নির্দেশ দেওয়া হয় ২০১৩ সালেই, হাই কোর্টে সওয়াল কল্যাণের
প্রতিদিন | ২৭ আগস্ট ২০২৫
গোবিন্দ রায়: রাজ্যের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রভোট করাচ্ছে না, এমন অভিযোগ কলকাতা হাই কোর্টে উড়িয়ে দিল রাজ্য। দীর্ঘ দিন ধরে রাজ্যের কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি, এই অভিযোগে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন সিপিএম নেতা তথা আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু আজ মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত শুনানিতে আইনজীবীর দাবি উড়িয়ে দেন তৃণমূল সংসদ তথা রাজ্যের বর্ষীয়ান আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে আদালতে স্পষ্ট জানান, ”সরকার রাজ্যের কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্রভোট করাতে উদ্যোগী, ছাত্র ভোট রাজ্য কখনও বাধা দেয়নি।”
বিচারপতি সুজয় পাল এবং বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চে এদিন এই মামলার শুনানি হয়। শুনানিতে রাজ্য সরকারের হয়ে সওয়াল করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন আদালতে তাঁর জোর সওয়াল, ”কলেজে নির্বাচনে কোনও বাধাই দেয়নি রাজ্য। বরং ২০১৩ সালে সার্কুলার প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে নির্বাচন করানোর নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য। কিন্তু কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিই ভোট করতে আগ্রহ দেখায়নি।” অন্যদিকে মামলাকারী আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে পালটা সওয়ালে অংশ নেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।
রাজ্যের আইনজীবীর রেশ ধরেই বর্ষীয়ান বামনেতা তথা আইনজীবী বলেন, ”কোন কোন কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়গুলি এমনটা করছে, সে সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে তথ্য দিক রাজ্য।” এরপরেই রাজ্যের প্রায় ৩৬৫টি কলেজ এবং ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়কে মামলায় পক্ষভুক্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি সুজয় পাল এবং বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ১০ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি। বলে রাখা প্রয়োজন, মামলাকারী আইনজীবীর দাবি ছিল, রাজ্যই ছাত্র সংসদের নির্বাচন বন্ধ রাখা হয়েছে। আর ভোট করানোর জন্য দায়বদ্ধ রাজ্যই। তাই ভোট না-হলে দায়বদ্ধ থাকতে হবে তাদেরই।