• অনিশ্চয়তা কাটিয়ে বুকিং শুরু আলিপুরদুয়ারের হোম স্টে-রিসর্টে, পুজোর আগে খুশি ব্যবসায়ীরা
    বর্তমান | ২৭ আগস্ট ২০২৫
  • সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: অবশেষে বিশ্বকর্মা পুজোর মুখে বুকিং নিয়ে ব্যস্ততা শুরু হয়ে গেল আলিপুরদুয়ারের হোম স্টে, লজ, রিসর্ট ও হোটেল মালিকদের। বুকিংয়ের জন্য পর্যটকদের ফোন আসতে শুরু হয়েছে। পর্যটন ব্যবসায়ীদের ধারণা, বিশ্বকর্মা পুজোর পরে বক্সা, জলদাপাড়া বা চিলাপাতায় নতুন পর্যটন মরশুম ও দুর্গাপুজোয় বুকিংয়ের হিড়িক বাড়বে। 

    সম্প্রতি ইস্টার্ন ডুয়ার্স ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি পর্যটন সংস্থার উদ্যোগে জলদাপাড়ায় বর্ষার পর্যটন হিসেবে ‘এলং-বোরলি’ মাছের উৎসব হয়ে গেল। ওই উৎসবে জলদাপাড়ায় প্রচুর পর্যটকের আগমন হয়েছিল। এরপরই বিশ্বকর্মা পুজোর আগে হোম স্টে, রিসর্ট, হোটেল ও লজগুলিতে বুকিং বাড়তে শুরু করেছে। 

    এবছর দুর্গাপুজো এগিয়ে আসাতে প্রথম দিকে বুকিং নিয়ে একটু অনিশ্চয়তায় ভূগছিলেন স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু বিশ্বকর্মা পুজোর কয়েক দিন আগে থেকে ছবিটা ধীরে ধীরে বদলাতে শুরু করেছে। বুকিং আসতে শুরু হয়েছে।  বুকিং শুরু হওয়ায় পর্যটন ব্যবসায়ীদের মুখে এখন চওড়া হাসি। আলিপুরদুয়ার জেলাতে ২০০টির উপরে হোম স্টে আছে। রায়মাটাং, টোটোপাড়া, চিলাপাতা, ভুটানঘাট, কোদালবস্তি, হাতিপোঁতা, ফাঁসখাওয়া, ময়নাবাড়ি, সান্তলাবাড়ি, রাজাভাতখাওয়া ও জয়ন্তীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা হোমস্টেগুলিতে ধীরে ধীরে বুকিং বাড়ছে। বুকিং বাড়ছে হোটেল, রিসর্ট ও লজগুলিতেও। জেলায় ৩০০টিরও বেশি হোটেল, লজ, রিসর্ট ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। 

    রাজাভাতখাওয়ার এক হোম স্টে মালিক লালসিং ভুজেল বলেন, পুজো বা জঙ্গল খোলার আগে বুকিংয়ের গতি কম থাকলেও, এখন ফোন আসছে। আমাদের মনে হয় বিশ্বকর্মা পুজোর পরে বুকিংয়ের হিড়িক বাড়বে। চিলাপাতার হোমস্টে মালিক বিমল রাভা বলেন, এবছর দুর্গাপুজো এগিয়ে আসাতে বুকিং নিয়ে চিন্তা বাড়ছিল। বুকিং নিয়ে অনিশ্চয়তার সেই মেঘ ক্রমশ কাটছে। বুকিং নিয়ে পর্যটকদের ফোন আসতে শুরু করেছে। বিশ্বকর্মা পুজোর পরেই পর্যটকদের বুকিং ও ফোন নিয়ে আমাদের ব্যস্ততা বাড়বে। 

    জয়ন্তীর একটি রিসর্ট মালিক পার্থসারথি রায় বলেন, এবছর পুজো এগিয়ে আসায় ভারী বৃষ্টি সহ নানা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্ভাবনা দেখছিল পর্যটকরা। তার কারণেই বুকিং নিয়ে আমরা একটু দুঃশ্চিন্তায় ছিলাম। কিন্তু আমাদের দুঃশ্চিন্তার সেই মেঘ কেটে গিয়েছে। বললেন, জয়ন্তীর একটি রিসর্ট মালিক পার্থসারথি রায়। তিনি বলেন, ১৫ সেপ্টেম্বর জঙ্গল খোলার আগে এই বুকিং হু হু করে করে বাড়বে। বুকিং নিয়ে দম ফেলার ফুসরত থাকবে না আমাদের। 

    এদিকে, নতুন পর্যটন মরশুমে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের স্বাগত জানাতে ১ সেপ্টেম্বর থেকে জলদাপাড়া ও চিলাপাতার জঙ্গলে হাতি ও কার সাফারির রুটগুলি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু হবে। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ডিএফও প্রবীণ কাসোয়ান বলেন, বর্ষায় জঙ্গলের ভিতরে ওই রুটগুলি ভেঙেও গিয়েছে। মাটি-পাথর ফেলে ভাঙাচোরা রুটগুলিও ঠিক করা হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)