বাসে ব্যাগ থেকে খোয়া গেল সোনার নেকলেস! তদন্তে লালবাজার
বর্তমান | ২৭ আগস্ট ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ২১৫ এ, রুটের চলন্ত বাস থেকে প্রায় ৭৫ গ্রামের রত্ন বসানো সোনার নেকলেস উধাও! ২৩ আগস্ট গণেশ টকিজ থেকে রামমন্দিরের স্টপের মধ্যে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনার দু’দিন পর হিরে ব্যবসায়ী মনুজ বেনগানি সোমবার গিরিশ পার্কে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। যার ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছেন গিরিশ পার্ক থানার পাশাপাশি লালবাজারের ওয়াচ শাখার গোয়েন্দারা। তবে এখনও পুলিস কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
গিরিশ পার্ক থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগে লেকটাউনের বাসিন্দা হিরে ব্যবসায়ী মনুজ বেনগানি জানিয়েছেন, ঘটনার সূত্রপাত ২৩ আগস্ট। সংস্থার কর্মচারী পিন্টু ঘোষ গণেশ টকিজের কারখানা থেকে পান্না ও মুক্তো বসানো প্রায় ৭৫ গ্রাম সোনার নেকলেস সেট সংগ্রহ করে প্রথমে কলাকার স্ট্রিটে যান একটি আংটি ডেলিভারি দিতে। এরপর বড়বাজার সোনাপট্টির কাছ থেকে ২১৫ এ রুটের বাসে চেপে তিনি রামমন্দিরে আসছিলেন নেকলেসটি অন্য এক কারিগরের কাছে জমা দিতে।
বাস থেকে নামার পর ওই কর্মচারী দেখেন, ব্যাগের চেইন অর্ধেক খোলা। ব্যাগ থেকে উধাও সোনার সেই নেকলেস! পিন্টু ঘোষের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন মনুজ। ওই ব্যবসায়ী ও তাঁর কর্মচারীরা তল্লাশি চালিয়েও হদিস পানটি খোয়া যাওয়া নেকলেসের। প্রাথমিকভাবে ওই ব্যবসায়ীর সন্দেহ কলাকার স্ট্রিট থেকে রামমন্দিরের মধ্যে কোথাও ওই নেকলেসটি খোয়া গিয়েছে।
ঘটনার দু’দিন পর ব্যবসায়ীর দায়ের করা লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে গিরিশ পার্ক থানার পাশাপাশি লালবাজারের ওয়াচ
শাখার গোয়েন্দারা। কলকাতা পুলিসের এক সূত্র জানাচ্ছে, তদন্তে নেমে প্রথমে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে হুগলির চণ্ডীতলার বাসিন্দা বছর পঞ্চান্নর ওই কর্মচারীকে। পাশাপাশি গোয়েন্দারা গণেশ টকিজ থেকে রাম মন্দির পর্যন্ত রাস্তার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছেন। তবে এখনও তেমন কোনও উল্লেখযোগ্য সূত্র মেলেনি।