• রামকৃষ্ণ সেতুতে কাজ, রাতে বন্ধ যাতায়াত, চরম ভোগান্তি
    বর্তমান | ২৭ আগস্ট ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, আরামবাগ: ঘোষণামতোই সোমবার রাত থেকে আরামবাগের রামকৃষ্ণ সেতু মেরামত শুরু হয়েছে। সেজন্য রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা অবধি সেতুতে যান চলাচল ও হেঁটে পারাপারেও নিষেধাজ্ঞা জারি করে পূর্তদপ্তর। সোমবার রাত ১০টা বাজতেই পুলিস সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধে সক্রিয় হয়। এর জেরে অনেকে ভোগান্তির মুখে পড়েন। অনেক যানচালকের সঙ্গে পুলিসের বচসাও হয়। তবে একে একে বাইকচালকদের সেতু পারাপারে ছাড় দেয় পুলিস। তবে মঙ্গলবার থেকে আরও কড়াকড়ি করা হচ্ছে।

    পূর্তদপ্তর জানিয়েছে, রামকৃষ্ণ সেতুর গার্ডওয়ালের একাংশ ভেঙে ফেলা হবে। গার্ডওয়ালের যে অংশ ভেঙে ঝুলছে-তা কেটে নামানো হবে। এজন্য মঙ্গলবার এবং বুধবারও রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা অবধি সেতু বন্ধ করে দেওয়া হবে। যদিও পূর্তদপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারদের একাংশ জানিয়েছেন, সোমবার রাতে কাজ তেমন এগনো যায়নি। ফলে ঘোষিত ওই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে কিনা-তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

    পূর্তদপ্তরের এক ইঞ্জিনিয়ার বলেন, সোমবার রাতে প্রাথমিক কাজ শুরু করা হয়েছে। ভোর পর্যন্ত তা চলেছে। এদিন রাত থেকে কাজের গতি আরও বাড়বে।

    সোমবার রাত ১০টা বাজতেই সেতুর দুই পারে পল্লিশ্রী ও কালীপুর এলাকায় ব্যারিকেড দিয়ে পুলিস মোতায়েন করা হয়। রাত ১০টার পর কোনও গাড়ি পারাপার করতে দেখা যায়নি। শুধু অ্যাম্বুলেন্স ও রোগী আছে এমন গাড়ি ছাড়া হয়েছে। বহু বাইক চালক পল্লিশ্রী ও কালীপুরে আটকে পড়েন। তাঁরা জানান, বাইরে থেকে ট্রেনে, বাসে আসতে দেরি হওয়ায় তাঁরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেতু পেরতে পারেননি। পুলিস তাঁদের ধাপে ধাপে ছাড়ে। সেতুতে যান নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় মানুষকে গোঘাট ও পূর্ব বর্ধমানের সীমানায় থাকা একলক্ষী সেতু হয়ে যাতায়াত করতে বলা হয়েছে। এজন্য পল্লিশ্রী ও কালীপুরে মাইকিং করে প্রচারও করা হয়। গোঘাট থানার পুলিস জানিয়েছে, কামারপুকুর, বেঙ্গাই ভিকদাস এলাকায় পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে। রাত ১০টার পর যানচালকদের ঘুরপথে যেতে বলা হয়।

    সোমবার রাতে সেতুতে কাজের অগ্রগতি দেখতে রাত ১০টার মধ্যেই হাজির হন আরামবাগের সাংসদ মিতালি বাগ। পূর্তদপ্তরের এক ইঞ্জিনিয়ারও এসে সেতুর কাজের তদারকি করেন। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)