পুজোর প্রসাদ বা জন্মদিনের কেক, শহরাঞ্চলে মাইক্রো ডেলিভারি ডাক বিভাগের
বর্তমান | ২৭ আগস্ট ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: বাড়িতে পুজো হচ্ছে? আত্মীয়স্বজনের কাছে প্রসাদ পাঠাতে হবে? কিংবা শুভ কোনও কাজের পর আত্মীয়দের মিষ্টি পাঠানোর ইচ্ছে? নাকি কারও জন্মদিনে পাঠাতে হবে কেক? পাশে রয়েছে ভারতীয় ডাকবিভাগ। শহরাঞ্চলের জন্য ‘মাইক্রো ডেলিভারি’ পরিষেবা চালু করতে চলেছে তারা। জানিয়েছে, শহর কিংবা শহরের আশপাশের কোনও ঠিকানায় পুজোর প্রসাদ থেকে কেক-মিষ্টির মতো খাবার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে দেওয়া হবে পোস্টঅফিসের মাধ্যমে। মঙ্গলবার জলপাইগুড়িতে এই পরিকল্পনার কথা জানান উত্তরবঙ্গ ও সিকিমের ভারপ্রাপ্ত পোস্টমাস্টার জেনারেল ঋজু গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘সঠিক সময় চিঠিপত্র পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি আমরা পার্সেল বুকিংয়েও জোর দিচ্ছি। নয়া ভাবনা হয়েছে ‘মাইক্রো ডেলিভারি’। পুজোর প্রসাদ থেকে কেক-মিষ্টি কেউ প্রিয়জনের বাড়ি পাঠাতে চাইলে ডাকবিভাগ তা নির্দিষ্ট ঠিকানায় পৌঁছে দেবে।’ শুধুমাত্র শহরাঞ্চলের জন্য এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই বিষয়টি স্পষ্ট করে দেন পোস্টমাস্টার জেনারেল। তিনি বলেন, ‘শুধু বুকিং নিলে হবে না। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেসব নির্দিষ্ট ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়ার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে। না হলে প্রসাদ বা মিষ্টি নষ্ট হতে পারে। সে কারণে আমরা শুধুমাত্র শহরাঞ্চলের জন্য এই পরিষেবা চালুর কথা ভাবছি। কেউ যদি দুপুর বারোটার মধ্যে পার্সেল বুক করেন বিকেলের মধ্যে তা গন্তব্যে পৌঁছে দেবে ভারতীয় ডাকবিভাগ।’ তিনি জানান, মাইক্রো ডেলিভারি চালুর জন্য পরিকাঠামো চাঙ্গা করা হবে। সে কাজে জোর দেওয়া হয়েছে। এ জন্য তৈরি হবে একটি বিশেষ টিম। ডাকবিভাগ পরিকাঠামো গুছিয়ে নিয়ে মাইক্রো ডেলিভারি পরিষেবা চালু করবে। কেউ পুজোর প্রসাদ কিংবা জন্মদিনের কেক-মিষ্টি প্রিয়জনের কাছে পাঠাতে পোস্টঅফিসে যোগাযোগ করলে সেই ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে ডাকবিভাগের কর্মীরাই পার্সেল নিয়ে আসবেন। প্রাথমিকস্তরে এমনটাই ভাবনাচিন্তা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এখনও পরিষেবা শুরুর দিন ঠিক হয়নি। এদিন জলপাইগুড়ি হেড পোস্টঅফিসের কাজকর্ম খতিয়ে দেখতে এসেছিলেন পোস্টমাস্টার জেনারেল। সেখানে তিনি বলেন, যেসব সাব পোস্টঅফিস ঠিক মতো কাজ করতে পারছে না সেগুলি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। উত্তরবঙ্গে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি উপ ডাকঘর বন্ধ করা হয়েছে।