২৬-এর ভোটের আগে অস্বস্তি বিজেপিতে, আমন্ত্রণ না পেয়ে অভিযোগ লকেট-ভারতীর
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৭ আগস্ট ২০২৫
২০২৬-এর বিধানসভা ভোট ঘনিয়ে আসতেই বঙ্গ বিজেপিতে অস্বস্তি বাড়ছে। সাম্প্রতিক দুটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিতে দলের দুই পরিচিত নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় ও ভারতী ঘোষকে ডাকা হয়নি। দমদমে প্রধানমন্ত্রীর সভায় সাধারণ সম্পাদকের পদে থাকা সত্ত্বেও লকেটকে মঞ্চে জায়গা দেওয়া হয়নি। আবার ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে আয়োজিত ‘নারী শক্তি’ সম্মেলনে আমন্ত্রণ পাননি ভারতী ঘোষ। এই ঘটনা ঘিরে গেরুয়া শিবিরে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, লকেট ও ভারতী দু’জনেই ইতিমধ্যেই দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন।
ঘটনাটি রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের অজান্তে ঘটেছে বলে সংগঠনের ভেতর থেকে দাবি উঠেছে। তবে বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই নড়েচড়ে বসেছে প্রধানমন্ত্রী দফতরও। কেন দমদমের সভায় লকেটকে ডাকানো হয়নি, তার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে। এদিকে, প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকেও টানা তিনবার প্রধানমন্ত্রীর সভায় ডাকা হয়নি। শুক্রবার যখন দমদমে নরেন্দ্র মোদী ভাষণ দিচ্ছিলেন, তখন দিলীপ ছিলেন বেঙ্গালুরুতে, আর্ট অফ লিভিং সেন্টারে শ্রী শ্রী রবিশঙ্করের সঙ্গে। সোমবার সকালে অবশ্য নিউটাউনের ইকোপার্কে দেখা যায় তাঁকে বেশ স্বমেজাজেই। সেখানে হাঁটাহাঁটির পাশাপাশি পায়রাদের খাওয়ানোর একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘আমরা প্রকৃতির সঙ্গে যত সময় কাটাব, পশুপাখিদের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করব, তাদের বোঝার চেষ্টা করব, ততই আমাদের মন ভালো থাকবে।’
এদিনই দিলীপ ফের ইঙ্গিত দিয়েছেন খড়গপুরে লড়াই করার ইচ্ছার কথা। তিনি বলেন, খড়গপুরের সঙ্গে তাঁর পারিবারিক সম্পর্ক। তিনি সেখানকার ভোটার। যদি লড়তে হয়, যাদের সঙ্গে এতদিন থেকেছেন তাঁদের সঙ্গেই লড়বেন। তাঁর দাবি, শুধু খড়গপুর নয়, জেলার প্রতিটি আসনেই জেতার মতো সংগঠন তৈরি আছে বিজেপির। গোষ্ঠী কোন্দলের আরও প্রমাণ মিলেছে তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভায়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ব্যানারে প্রধানমন্ত্রী মোদী, জেপি নাড্ডা এবং শুভেন্দুর ছবি ছিল। কিন্তু রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের ছবি ছিল না। সাধারণত বিজেপির জেলা সভায় রাজ্য সভাপতির ছবি থাকাটাই নিয়ম, তাই ছবি বাদ পড়া নিয়ে দলীয় মহলে প্রশ্ন উঠেছে। একদিকে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন বাদ পড়া নেতারা, অন্যদিকে জেলা থেকে রাজ্য পর্যন্ত ব্যানার-রাজনীতি। সব মিলিয়ে ছাব্বিশের ভোটের আগে বঙ্গ বিজেপিতে অস্বস্তি সামনে এসেছে।