মহাকাশ বিজ্ঞান পড়তে চেয়েছিলেন! পরিবারের ইচ্ছা ছিল চিকিৎসক হবেন, টানাপড়েনে আত্মঘাতী নন্দীগ্রামের ছাত্রী
আনন্দবাজার | ২৭ আগস্ট ২০২৫
নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের খোদামবাড়ির মেধাবী ছাত্রী দীপশিখা মাইতির ইচ্ছা ছিল মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করার। অন্য দিকে, পরিবারের ইচ্ছা ছিল চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করবেন তাদের কন্যা। মঙ্গলবার সকালে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হতে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। স্থানীয়দের দাবি, এই ‘টানাপড়েনের’ জেরেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন দীপশিখা। মঙ্গলবার ভোরে ওই ছাত্রীর নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রতিবেশীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, পড়াশোনায় ভাল ছিলেন দীপশিখা। তাঁর পরিবার চেয়েছিল, তিনি ডাক্তার হবেন। এ বছর ডাক্তারির প্রবেশিকায় বসে সফল হয়েছিলেন তিনি। সরকারি কলেজে ভর্তি হওয়ার যোগ্যতাও অর্জন করেন। তবে তার পরেও দীপশিখা নিজের পছন্দের বিষয় মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য প্রস্তুতি চালিয়ে যেতে থাকেন। সেই নিয়ে পড়াশোনা করার প্রবেশিকাতেও সফল হন তিনি।
পরিবার সূত্রে খবর, মঙ্গলবার মামার সঙ্গে নন্দীগ্রাম থেকে বাঁকুড়ায় গিয়ে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হওয়ার কথা ছিল দীপশিখার। কিন্তু তার আগেই ভোর ৩টে নাগাদ তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মেয়ের মৃত্যুসংবাদে ভেঙে পড়েছেন দীপশিখার বাবা দিলীপ মাইতি। তিনি বলেন, “আমরা কোনও দিন মেয়েকে পড়াশোনার জন্য চাপ দিইনি। কী ভাবে নিজের কেরিয়ার ও এগিয়ে নিয়ে যাবে, তা নিয়েও চাপ দিইনি। তবে আমাদের ইচ্ছা অনুসারে মেয়ে চিকিৎসক হবে বলেই আমরা ভেবেছিলাম। কিন্তু মেয়ে যে চিকৎসক হতে চায়নি, মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে চেয়েছিল, সেই বিষয়ে বিশদে কিছু জানায়নি। নিজের মনের কথা এ ভাবে চেপে রেখে মেয়ে যে নিজেকে এভাবে শেষ করে দেবে, তা আমরা কল্পনাও করতে পারিনি।’’