• দাউ দাউ করে পুড়ল বাইক! পেট্রোল পাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের আতঙ্ক, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন সকলে...
    আজকাল | ২৭ আগস্ট ২০২৫
  •  

    আজকাল ওয়েবডেস্ক: সম্প্রতি এক ভয়াবহ কাণ্ড ঘটে গেল হুগলিতে। তেলের ট্যাঙ্কের উপর বসে আচমকা ছেলে বলল তার পায়ে গরম লাগছে। এরপর যা হল তাতে শিউরে উঠলেন আনন্দ ঘরামী। ছেলেকে নামাতেই দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। মুহূর্তে পুড়ে ছাই হয়ে গেলো তাঁর বাইক।  

    খবর মারফত জানা গিয়েছে, গতকালই বাবা মারা গিয়েছেন আনন্দ গরামীর। আজ বেরিয়েছিলেন একটা দরকারি কাজে।চন্ডীতলার পেট্রোল পাম্প থেকে পেট্রোল ভরে বেরোনোর সময় এই ভয়াবহ বিপত্তি। তেল ভরে পেট্রোল পাম্পের গেটের সামনে যেতেই দাউদাউ করে জ্বলে উঠলো আগুন। জানা গিয়েছে তাঁর বাইকটি আগুনে সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

    ঘটনার জেরে আনন্দ জানান ছেলেকে নিয়ে বেরিয়েছিলেন তিনি। বাইকের সামনে তেলের ট্যাংকের উপরে বসেছিল ছেলে। পেট্রোল পাম্প থেকে তেল ভরে বেরোনোর সময় ছেলে বলে তার পায়ে খুব গরম লাগছে। তারপর তিনি দেখেন গাড়ি থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। গাড়ি থেকে নিচে নামতেই দাউ দাউ করে জ্বলতে শুরু করলো বাইকটি। নিমেষের মধ্যে পুড়ে ছাই হয়ে গেল আনন্দ গরামীর পালসার বাইক। পেট্রোল পাম্পের কর্মীরা তৎক্ষণাৎ আগুন নেভানোর জন্য জল ঢালা শুরু করে। এই দৃশ্য দেখে ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয়রাও ছুটে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। তার আগেই অবশ্য বাইকটি পুরোপুরি পুরে যায়।

    ঘটনার জেরে স্থানীয় মানুষ জানিয়েছেন যে, আনন্দ গরামীর মোটরবাইক পেট্রোল ভরার পরপরই আচমকা আগুনে জ্বলে ছাই হয়ে যায়। ঘটনাটি ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্যের পাশাপাশি আতঙ্কও ছড়িয়ে পড়ে। সৌভাগ্যবশত আনন্দ ও তাঁর ছোট ছেলে প্রাণে রক্ষা পান।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সদ্য প্রয়াত বাবার মৃত্যুশোকের মাঝেই আনন্দ গরামী এদিন বিকেলে ছেলে-সহ বাইকে করে একটি দরকারি কাজে বেরিয়েছিলেন। বাইকের পেট্রোল ট্যাংকের উপরে বসেছিল তাঁর ছোট ছেলে। চণ্ডীতলার ওই পেট্রোল পাম্পে গিয়ে তিনি বাইকে পেট্রোল ভরেন।

    পেট্রোল ভরে গেটের কাছে আসতেই ছেলে হঠাৎ বলে ওঠে, তার পায়ে খুব গরম লাগছে। সঙ্গে সঙ্গে আনন্দ দেখেন বাইকের তলা থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। তিনি দ্রুত ছেলেকে নামিয়ে দেন। আর নামানো মাত্রই দাউ দাউ করে আগুন ধরে যায় গোটা বাইকে। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখায় গ্রাস করে নেয় পুরো যানটিকে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁদের প্রিয় পালসার মোটরবাইক পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

    ঘটনাস্থলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও পেট্রোল পাম্পের কর্মীরা তৎপরতার সঙ্গে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। জল ঢালা হয়, ব্যবহার করা হয় ফায়ার এক্সটিংগুইশারও। তবে তার আগেই বাইকটি সম্পূর্ণভাবে ভস্মীভূত হয়ে যায় বলে খবর। সৌভাগ্যের বিষয়, পাম্পের ভেতরে আগুন ছড়িয়ে পড়েনি এবং বড়সড় বিপর্যয় এড়ানো গেছে।

    আনন্দ গরামী ঘটনার পর বলেন, “ছেলেকে নিয়ে বাইকে বেরিয়েছিলাম। ট্যাংকের উপর বসে ছেলে বলল, তার পায়ে গরম লাগছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে নামালাম। আর নামাতেই মুহূর্তের মধ্যে আগুন ধরে গেল বাইকটায়। চোখের সামনে আমাদের বাইকটা ছাই হয়ে যেতে দেখলাম।”

    ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এবং আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা শুরু করে। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিট বা যান্ত্রিক গোলযোগ থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তবে সঠিক কারণ জানতে তদন্ত চলছে।

    স্থানীয়রা জানান, পেট্রোল পাম্পে এভাবে বাইকে আগুন লেগে যাওয়া খুব ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি করতে পারত। সামান্য দেরি হলে পাম্পে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটার আশঙ্কা ছিল। তবে কর্মীদের দ্রুত পদক্ষেপ ও আনন্দের সতর্কতায় বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
  • Link to this news (আজকাল)