• বাবা-মাকে ঘরে তালাবন্ধ করে পেট্রল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দিল ছেলে
    আজকাল | ২৭ আগস্ট ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: গভীর রাতে ঘরের বাইরে থেকে দরজা তালাবন্ধ করে পেট্রোল ঢেলে এক দম্পতি ও তাঁদের ছেলে ও মেয়েকে পুড়িয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ  উঠল সৎ ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয়েছে একজনের। পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের উদয়কৃষ্ণপুরের পশ্চিমপাড়ার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে সৎ ছেলে এই খুনের চেষ্টা চালায় বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। অভিযুক্ত বাবুল মিস্ত্রিকে আটক করেছে পুলিশ। সেও অগ্নিদগ্ধ হয়েছে। তাকেও বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছে। 

    আহত কৃষ্ণপদ মিস্ত্রি (৫০) তাঁর দুই সন্তান বাদল মিস্ত্রি (১৩) ও কন্যা সুমিত্রা মিস্ত্রি (১০) ।  মৃতার নাম--সন্ধ্যা মিস্ত্রী(৪২)। তিনি কৃষ্ণপদর স্ত্রী।   জানা গিয়েছে, কৃষ্ণপদ মিস্ত্রি তাঁর পরিবারকে নিয়ে ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন। এরপর ভোর রাতে কৃষ্ণপদ মিস্ত্রির প্রথম পক্ষের ছেলে বাবুল মিস্ত্রি সেই সময় বাড়িতে পেট্রল দিয়ে আগুন ধরিয়ে পালায়। এই ঘটনায় সেও অগ্নিগ্ধ হয় বলে জানা গিয়েছে। 

    সূত্র অনুযায়ী খবর, বাইরে তালা দিয়ে রাখার ফলে পরিবারের সদস্যরা কেউ ঘর থেকে বের হতে পারেননি। আগুন এবং পোড়া গন্ধ পেয়ে গ্রামবাসীরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। গ্রামের লোকজনই পুলিশকে খবর দেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাঁদের উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ  অ্যান্ড হসপিটালে পাঠায় চিকিৎসার জন্য । 

    হাসপাতালে কৃষ্ণপদ মিস্ত্রির স্ত্রী সন্ধ্যা মিস্ত্রির মৃত্যু হয়। কৃষ্ণপদ ও তাঁর ছেলে বাদলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। জমি-জমা সংক্রান্ত পারিবারিক অশান্তির কারণেই প্রথম পক্ষের ছেলে বাবুল মিস্ত্রি এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

    প্রতিবেশী সুব্রত মন্ডল জানান, রাত দুটো চল্লিশ নাগাদ চিৎকার ও  পোড়া গন্ধ পেয়ে আমরা ছুটে যাই। গিয়ে দেখি সকলে অগ্নিদদ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। আমরা তাঁদের হাসপাতালে পৌঁছে দেবার ব্যবস্থা করি।  অন্যদিকে আর এক প্রতিবেশী সুবল মন্ডল জানান, প্রথমে ঘটনার কারণ বোঝা যাচ্ছিল না। পুলিশ এসে অনুসন্ধান শুরু করে। পুলিশের কাছেই বাবুল স্বীকার করে তাকে জায়গা কম দেওয়ায় তার ক্ষোভ ছিল। তাই সেই রাগে সে আগুন দিয়েছে।

    মৃতার ভাই হরিদাস সরকার জানান, আমার দিদি আর জামাইবাবু বাইরে শুয়ে ছিল। তাঁরা মারাত্মকভাবে পুড়ে যায়। দিদি মারা গিয়েছে। অন্যদিকে জামাইবাবু আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি আছেন। বাবুল মিস্ত্রি পেট্রল ঢেলে সবাইকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছিল। সম্ভবত আগুন লাগাতে গিয়ে কোনোভাবে সেও আহত হয়েছে। তার হাত ও পা পুড়ে গিয়েছে।
  • Link to this news (আজকাল)