অর্ণবাংশু নিয়োগী: যে পুজো কমিটিগুলি গতবছর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রাজ্যের দেওয়া অনুদানের হিসাব পেশ করেছিল তারাই এ বছর অনুদান পাবেন। এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। যারা ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দেয়নি তারা এবছর অনুদান পাওয়ার যোগ্য নয়। সাফ জানালেন বিচারপতি সুজয় পালের ডিভিশন বেঞ্চ। আগের নির্দেশ মেনেই এবছরও পুজো কমিটিগুলিকে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। তবে বাকি পুজো কমিটিগুলিকে অনুদান দিতে কোনো বাধা নেই।
.navbarright{margin-right: -10px;}
.navbarright li + li{margin-right: 0;}
.textCtsfbox{background: #FFD1D1 ;border: 1px solid #DBB4A5;border-radius: 5px;display: flex;justify-content: center;gap: 20px;align-items: center;margin-bottom: 15px;}
.textCtsfbox span{font-family: helvetica;font-size: 14px;color: #333333;font-weight: bold;}
.cta_img{margin-block:4px}
এই বিষয়ে রাজ্যের বক্তব্য, গত বছর কলকাতা পুলিস এলাকায় ২৮৭৬ টি পুজো কমিটিকে অনুদান দেওয়া হয়েছিল। প্রত্যেকে হিসাব বা ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দিয়েছে। জেলা পুলিসের তরফ থেকে ৪১৭৯৯ টি চেক তৈরি ছিল। ৪১৭৯৫ টি পুজো কমিটি এই অনুদান গ্রহণ করেছে। ৪১৭৯২ টি পুজো কমিটি হিসাব দিয়েছে। শিলিগুড়ির ৩ টি পুজো কমিটি ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দেয়নি। বিচারপতি সুজয় পাল ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর, আদালতের আগের যে নির্দেশ ছিল, তা মানতে হবে।
যদিও রাজ্যের দাবি, গত বছরের অনুদান নেওয়া গোটা রাজ্যের ক্লাবগুলির মধ্যে মাত্র ৩টে ক্লাব হিসেব দেয়নি। তারা শিলিগুড়ি পুলিস কমিশনারেট এলাকার। গত কয়েক বছর ধরে দুর্গা পূজার জন্য ক্লাবগুলিকে অনুদান দিচ্ছে রাজ্য। গত বছর সেই অঙ্ক ছিল ক্লাবপ্রতি ৮৫,০০০, এ বছর তা বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ ১০ হাজার। এছাড়া বিদ্যুতের বিলেও ছাড় দেওয়া হচ্ছে।
পাশাপাশি, আদালতের নির্দেশ, চলতি বছরে বিজয়া দশমীর একমাস পরে সমস্ত ক্লাবকে তাদের টাকা খরচের ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে রাজ্য পুলিশের ডিজি ও কলকাতা পুলিশের সিপির কাছে। দূর্গাপুজার ছুটির একমাস পর এই মামলার ফের শুনানি হবে। তবে নতুন যে সব ক্লাব এবার সংযোজিত হয়েছে, তাদেরকে এই হিসেবের তালিকার বাইরে রাখা হবে। গত বছর যে সব ক্লাবগুলিকে টাকা দেওয়া হয়েছিল, তাদেরকেই এই হিসেব দিতে হবে।