সিন্ধু নদ নয়, মহেঞ্জোদারো এবার হুগলির তীরে! হাজার বছরের ‘মানব অতীত’ দেখাবে চুঁচুড়ার ক্লাব
প্রতিদিন | ২৭ আগস্ট ২০২৫
সুমন করাতি, হুগলি: অস্থায়ী প্রাচীর। দেওয়ালের গায়ে ফুটে উঠেছে বিভিন্ন কারুকার্য। হাজার হাজার বছরের প্রাচীন চিত্রের আদলে ফুটে উঠছে শিল্পকলা। পুজোর আগে হুগলির বুকে ফিরে আসবে হারানো পৃথিবীর লুপ্ত সভ্যতা! হ্যাঁ, এখানে রূপ পাচ্ছে এক ফালি মহেঞ্জোদারো সভ্যতা।
চুঁচুড়া আজাদ হিন্দ ক্লাব। এবারে তাদের ৭৫তম বর্ষের দুর্গাপুজো। অভিনব থিমে সেজে উঠছে তাদের পুজো মণ্ডপ। রাখাল দাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবিষ্কৃত সিন্ধু সভ্যতার নানান নিদর্শন তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। পাঁচ হাজার বছরের প্রাচীন সিন্ধু সভ্যতার মহেঞ্জোদারোর প্রতিরূপ ফুটে উঠছে এই পুজোয়।
পুজোর আর বাকি মাসখানেক। দিনরাত এক করে, খাওয়া-নাওয়া ভুলে কাজ করছেন শিল্পীরা। প্রধান শিল্পীর সঙ্গে মিলে বিভিন্ন জেলার দক্ষ শিল্পীরা গড়ে তুলছেন এই মণ্ডপ। ব্যবহার করা হচ্ছে ইট, বালি ও সিমেন্ট। থাকছে বাঁশ, কাঠের ব্যবহারও।
এই বছর লাগাতার বৃষ্টি হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কাজে বাধা পড়েছে। দীর্ঘ তিন মাস ধরে চলছে মণ্ডপ নির্মাণের কাজ। তবুও অনেক কাজ বাকি রয়ে গিয়েছে। শুধু মণ্ডপ নয়, বিশেষত্ব থাকছে দুর্গা প্রতিমাতেও। সিন্ধু সভ্যতার সঙ্গে মানিয়ে তৈরি হচ্ছে প্রতিমা। দেবীমূর্তিতেও ব্যবহার করা হচ্ছে বালি ও সিমেন্ট।
আজাদ হিন্দ ক্লাবের সম্পাদক বিশাল কাহার জানিয়েছেন, “দর্শনার্থীরা এই মণ্ডপে প্রবেশ করলে কিছুটা সময় থমকে যাবেন। সময় নিয়ে দেখতে হবে এই অভিনব সজ্জা ও শিল্পভাবনা।” কবে উদ্বোধন করা হবে এই মণ্ডপ? কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, দ্বিতীয়া থেকেই এই মণ্ডপ খুলে দেওয়া হবে বলে আশাবাদী তাঁরা।