মনোজ মণ্ডল: নিউটাউনে নাবালিকাকে ধর্ষণ-খুনে (Newtown Rape and Murder Case) যাবজ্জীবন সাজা (Lifetime Imprisonment) দোষী সাব্যস্ত সৌমিত্র রায়ের। ধর্ষণ-খুনকাণ্ডের ৬ মাসের মাথাতেই সাজা ঘোষণা। সাজা ঘোষণা করল বারাসত পকসো আদালত। দোষী সাব্যস্ত পেশায় টোটো চালক সৌমিত্র রায়কে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১০৩ ধারায় আমৃত্যু কারাবাস, সেইসঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৫ বছর কারাবাসের সাজা শুনিয়েছেন বিচারক।
ঘটনার সূত্রপাত চলতি বছরেরই ৭ ফেব্রুয়ারি। সেদিন নিউটাউনের জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয় নাবালিকার অর্ধনগ্ন দেহ। তদন্তে জানা যায়, মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে সেদিন বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল ওই নাবালিকা। ওই নাবালিকার বয়স ছিল ১৪ বছর। বাবা কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। নিউটাউনের গৌরাঙ্গ নগরে ভাড়া বাড়িতে মা ও বোনের সঙ্গে থাকত সে। সিসিটিভি ফুটেজে রাত সাড়ে ১১ টা নাগাদ টোটোতে উঠতে দেখা যায় নির্যাতিতাকে। এরপরই টোটো চালক সৌমিত্র রায়ের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিস।
নিউটাউনেরই জগৎপুর ৭ নম্বর এলাকা থেকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার নাম করে ওই নাবালিকাকে নিজের টোটোতে বসিয়েছিল সৌমিত্র। প্রথমে পিছনের সিটে বসেছিল সে। এরপর যখন টোটোতে অন্য যাত্রীরা ওঠেন, তখন ওই নাবালিকাকে সামনে সিটে বসায় টোটো চালক। শেষে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরানোর পর, ওই নাবালিকা নিয়ে যাওয়া হয় লোহা ব্রিজের কাছে ফেঙসিং ঘেরা পরিত্যক্ত জঙ্গলে। এরপরই ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করে সৌমিত্র রায় (Newtown Rape and Murder Case)। তদন্তে নেমে নিউটাউন পুলিস ক্যাম্প এলাকা থেকে সৌমিত্র রায় নামে এক টোটো চালককে গ্রেফতার করে বিধাননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ ও নিউটাউন থানার পুলিস।
গ্রেফতারির ১৫ দিনের মাথাতেই ২৪ ফেব্রুয়ারি চার্জশিট জমা দেয় পুলিস। ৪ পাতার চার্জশিটে মূল ও একমাত্র অভিযুক্ত হিসেবে সৌমিত্র রায়েরই নাম ছিল। ৬ মাসেই শুনানি শেষ হয়। মূল অভিযুক্ত টোটো চালক সৌমিত্র রায়কে সোমবার দোষী সাব্য়স্ত করে বারাসতের পকসো আদালত। আজ হল সাজা ঘোষণা।