• দীর্ঘদিন পরিকল্পনার পর চাকদহে ব্যাঙ্কে ডাকাতি, ধৃতদের জেরায় নয়া তথ্য পেল পুলিশ
    প্রতিদিন | ২৮ আগস্ট ২০২৫
  • সুবীর দাস, কল্যাণী: চাকদহে ব্যাঙ্ক ডাকাতির ঘটনায় বড় সাফল্য পুলিশের। লাগাতার তদন্তে উদ্ধার ৪.৬ কেজি সোনা এবং আগ্নেয়াস্ত্র। পাশাপাশি তদন্তে উঠে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীরা দীর্ঘদিন ধরেই এই ডাকাতির পরিকল্পনা করছিল। তবে তদন্ত এখনও শেষ হয়নি এবং পুলিশের অনুমান আরও অনেকে এই ঘটনায় যুক্ত রয়েছে।

    গত মঙ্গলবার ভরসন্ধেয় চাকদহ থানার লালপুরে চাকদহ-বনগাঁ রোডের ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কে দুই দুষ্কৃতী হানা দেয়। সেসময় ব্যাঙ্কের ভিতরে মোট চার কর্মী উপস্থিত ছিলেন। জানা গিয়েছে, ওই ব্যাঙ্কে গয়না বন্ধক রেখে টাকা ঋণ দেওয়া হয়। ফলে ব্যাঙ্কের ভল্টে প্রচুর গয়নাও ছিল বলে খবর। ব্যাঙ্কের ভিতর ঢুকেই দুই দুষ্কৃতী সদর দরজার শাটার নামিয়ে দেয়। এরপর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ব্যাঙ্ক কর্মীদের ভয় দেখানো চলতে থাকে। দু’ব্যাগ ভরে সোনার গয়না নিয়ে দুষ্কৃতীরা চম্পট দেয়। এরপরেই ব্যাঙ্ককর্মীরা চাকদহ থানায় খবর দেন। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। রানাঘাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার আশিসকুমার মৌর্যও তদন্তে যান।

    ঘটনার পর পরই তৎপর হয় চাকদহ থানার পুলিশ। ব্যাঙ্কের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা। সেখানে দুই দুষ্কৃতীকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। সেই ফুটেজ দেখিয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নেওয়া হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ চলে। ব্যাঙ্কের কর্মীদের ধারাবাহিক জেরা করেন তদন্তকারীরা। এরপরেই বিভিন্ন জায়গা থেকে তিনজন দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতদের কল্যাণী মহকুমা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ হেফাজতে তদন্তের সময় উঠে আসে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। রানাঘাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার আশিস কুমার মৌর্য বুধবার সন্ধ্যায় জানান, “ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ৩ জনকে আমরা আগেই গ্রেপ্তার করেছিলাম। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে আমরা ৪ কেজি ৬০০ গ্রাম সোনা, একটি আগ্নেয়াস্ত্র, ডাকাতির সময় ব্যবহৃত পোশাক ও টুপি উদ্ধার করেছি। বাকি সোনা উদ্ধারের জন্য অভিযান চলছে। এই ঘটনায় কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না।” এই ঘটনার জেরে চাকদহ ও সংলগ্ন এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়। তবে পুলিশ প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপে সাধারণ মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)