• ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ ক্যাম্পে উত্তেজনা! বিডিও-বিধায়ককে ঘরবন্দি করল ক্ষুব্ধ জনতা
    প্রতিদিন | ২৮ আগস্ট ২০২৫
  • গোবিন্দ রায়, বসিরহাট: সরকারি ক্যাম্পে গিয়ে আমজনতা ও দলীয় কর্মী-সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন স্বরূপনগরের বিধায়ক বীণা মণ্ডল। রোষ গিয়ে পড়ে স্থানীয় জয়েন্ট বিডিওর উপরেও। তাঁদের দীর্ঘক্ষণ একটি ঘরে বন্ধ করে হেনস্তার অভিযোগও উঠেছে। পুলিশি তৎপরতায় বিধায়ক ও জয়েন্ট বিডিওকে উদ্ধার করা হয়। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের স্বরূপ নগরের বালতি-নিত্যানন্দকাটি গ্রামে।

    বুধবার গ্রাম পঞ্চায়েতের ১১৭নং বুথে আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান ক্যাম্প চলছিল। সেখানে যান বিধায়ক। ক্যাম্পের একটি ঘরে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন জয়েন্ট বিডিও ও বিধায়ক বীণা মণ্ডল। সেখানে আসা সাধারণ মানুষ বিধায়ককে দেখে রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েন।

    দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে বিধায়ক পদে রয়েছেন বীণা। স্থানীয়দের প্রশ্ন, এতদিনে কেন আসেননি? আজ হঠাৎ এই ক্যাম্পে আসলেন কেন? জনসাধারণের আরও প্রশ্ন, আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান প্রকল্পে মানুষের সমস্যা মেটাতে এসে বিধায়ক কীভাবে আলাদা করে বৈঠক করেন? এই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে গণ্ডগোল ও বচসা হয়। স্থানীয় প্রধান সাবিকুর নাহার, জয়েন্ট বিডিওর কাছে রীতিমতো ক্ষোভপ্রকাশ করেন। বিধায়ককে রীতিমতো ঘরের মধ্যে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে প্রধান থেকে শুরু করে আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান ক্যাম্পে আসা উপভোক্তারা। বিধায়কের বিরুদ্ধে প্রধানের পালটা অভিযোগ, তাঁকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে হেনস্তা করেছে বিধায়কের লোকজন।

    বালতি-নিত্যানন্দকাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সাবিকুর নাহার খাতুন বলেন, “বিধায়ক আমাকে দেখে বলেন তুই কে? তারপর কিছু বাগবিতণ্ডা হয়। আমাকে গালাগাল দেন। দুই সিভিক পুলিশ আমাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এমনকী কখন আমার জামা ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। বিধায়কের এই ব্যবহার যথেষ্টই ঘৃণ্য।”

    তবে স্বরূপনগরের বিধায়ক বীণা মণ্ডল অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, “ওই পঞ্চায়েত প্রধান নিজেকে বড় নেত্রী ভাবছিলেন। আমার সঙ্গে কোনও গণ্ডগোল হয়নি। জয়েন্ট বিডিওর সঙ্গে গণ্ডগোলে জড়িয়ে পড়েছিল তাঁরা।” বিষয়টি নিয়ে স্বরূপনগরের বিজেপি নেতা বৃন্দাবন সরকার বলেন, “স্বরূপনগরে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল নতুন নয়। তৃণমূল দলের ভিতরেই এত সমস্যা রয়েছে সেগুলিকে সমাধান না করে তারা এখন পাড়ায় পাড়ায় সমাধানে বেরিয়েছে। আগে নিজেদের সমস্যার সমাধান করুক। তারপর মানুষের কাজ করবে। আগামী ২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে মানুষ এর জবাব দেবে।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)