• পুজোয় বিদ্যুৎ বিভ্রাট রুখতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ, বৈঠকে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস
    প্রতিদিন | ২৮ আগস্ট ২০২৫
  • বিধান নস্কর, বিধাননগর: শহরজুড়ে শুরু হয়েছে পুজোর প্রস্তুতি। গলিতে গলিতে চলছে মণ্ডপসজ্জা। পুজো কমিটির পাশাপাশি প্রস্তুতি তুঙ্গে সরকারেরও। পুজো প্যান্ডেলগুলোতে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ জোগানের জন্য বুধবার বৈঠকে বসেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি নিয়ে বিদ্যুৎ দপ্তরে সাংবাদিক বৈঠকও করেন তিনি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ডব্লিউবিএসইডিসিএল এবং সিইএসসি-সহ অন্যান্য সংস্থার আধিকারিকরা।

    অরূপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, প্রত্যেক বছরের মতোই এবারও ডিভিসি, এনটিপিসি, রেল-সহ বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করেছে সরকার। পুজো মণ্ডপে বিদ্যুৎ সংযোগ সংক্রান্ত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্য বিদ্যুৎপর্ষদ যে এলাকায় পরিষেবা দেয়, সেখানে ২০১১ সালে ২০ হাজার ৯৭০টি পুজো হত। এতে মাত্র ২১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ লাগত। এখন পুজো হয় ৫০ হাজার ৫৫০টি। এখন ১৩৪৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয়। অর্থাৎ ৫৪২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে চাহিদা। সিইএসসি-র পরিষেবা অঞ্চলে ২০২৪ সালে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে ৫ হাজার ৪৮৪ পুজোয়। এতে বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয় ৫৫ মেগাওয়াট। সব মিলিয়ে ৫৬ হাজার ৩৪টি পুজো হয় যেখানে সরকারিভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়। এছাড়াও বিভিন্ন বাড়ির পুজো এবং ক্লাবের পুজো থাকে যেখানে আলাদা করে বিদ্যুৎ সংযোগ লাগে না।

    গত বছর তৃতীয়া এবং চতুর্থীতে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ে। চতুর্থীতে ৯ হাজার ৯১২.৭১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয়। তারপরে ধাপে ধাপে চাহিদা কমে। মন্ত্রী জানিয়েছেন, এইবছর প্রায় ১২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হতে পারে। সরকার এবং সিইএসসি এর জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ঘোষণা করেছিলেন, বিদুৎ বিলের ৮০ শতাংশ ছাড় পাবে ক্লাবগুলি। তিনি জানান, পুজোর সময় ২৪ ঘণ্টা অফিসে থাকবেন ১৬১৬ জন বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র অফিসার। মোট ৭৩ হাজার ৭১৪ জন কর্মী পুজোর সময় পরিষেবা দেবেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।

    মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, এবারের পুজোর সময় ৩ হাজার ৪৫০টি মোবাইল ভ্যান থাকবে। কোনও জায়গায় বিদ্যুতের সমস্যা হলে সরাসরি জন্য হেল্প লাইন নম্বর ১৯১২১-তে ফোন করা যাবে। এছাড়াও হোয়াটস্যাপে ৮৯০০৭৯৩৫০৪ নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে। সিইএসসি-র ক্ষেত্রে সমস্যা হলে ৯৮৩১০৭৯৬৬৬ নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

    পুজো কমিটির কাছে মন্ত্রী আবেদন জানিয়েছেন, যত বিদ্যুৎ দরকার, সবটার জন্যই যেন আবেদন জানানো হয়। অনেক ক্লাব কর্তারা কম বিদ্যুতের জন্য আবেদন করেন। এর ফলে দুর্ঘটনা ঘটে। এর পাশাপাশি মণ্ডপের মধ্যে দাহ্য পদার্থ এবং কাটা তার জুড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে সতর্ক করেছেন তিনি।
  • Link to this news (প্রতিদিন)