গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ থেকে অপসারিত হলেন পবিত্র চট্টোপাধ্যায়। দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই এ সংক্রান্ত সরকারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। যদিও উপাচার্যের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
২০০৮ সালে মালদায় প্রতিষ্ঠিত গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রয়েছে প্রায় ২৫টি কলেজ। দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক অনিয়ম থেকে শুরু করে প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলা নিয়ে অভিযোগ উঠছিল। ২০১৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে অনিয়মিত খরচ ও বেআইনি লেনদেনের অভিযোগ সামনে আসে। তদন্তে একাধিক গরমিল ধরা পড়ে। এরপর থেকেই উপাচার্যের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে। সম্প্রতি ২৫ অগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের আয়োজন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা আয়োজন করতে ব্যর্থ হন উপাচার্য। রাজভবনের তরফে মনে করা হচ্ছে, এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ একাডেমিক অনুষ্ঠান সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এর পরেই তাঁকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, আর্থিক দুর্নীতি থেকে নথি চুরি, উত্তরপত্র গায়েব হওয়া এরকম একাধিক ঘটনায় ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। সেই প্রেক্ষিতেই এবার উপাচার্যের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিল রাজভবন। শিক্ষা মহলের মতে, উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে রাজ্য সরকার ও রাজ্যপালের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে যে টানাপোড়েন চলছে, এই সিদ্ধান্ত সেই প্রেক্ষাপটে তাৎপর্যপূর্ণ। এমনকি উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপালের নিয়োগ করা উপাচার্যকেই অপসারণ এক বড় রাজনৈতিক বার্তাও বয়ে আনতে পারে।