জলদাপাড়া ও গোরুমারায় হাতি-গন্ডারের জন্য ৩৮০ হেক্টরে ঘাসরোপণ, তৈরি লক্ষাধিক কর্মদিবস
বর্তমান | ২৮ আগস্ট ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: একদিকে জঙ্গলে বন্যপ্রাণীদের খাবারের সংস্থান, অন্যদিকে জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের মানুষের কর্মসংস্থান। এই দুই লক্ষ্য নিয়ে ডুয়ার্সের গোরুমারা ও জলদাপাড়ায় মোট ৩৮০ হেক্টর জমিতে চলছে ঘাস রোপণের কাজ। ঢেড্ডা, চেপ্টি, পুরুন্ডি, মালসা সহ ১২ প্রজাতির ঘাস লাগানো হচ্ছে। এই সমস্ত ঘাস হাতি, গন্ডার সহ তৃণভোজী বন্যপ্রাণীদের অত্যন্ত পছন্দের। ঘাসজমির এলাকা বৃদ্ধির কাজে মিলছে জোড়া ফল। একদিকে যেমন জঙ্গলে হাতি, গন্ডারের খাবারের চাহিদা মিটবে, ফলে তাদের লোকালয়ে বেরিয়ে আসার প্রবণতা কমবে, তেমনই এলাকার মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে। জলদাপাড়ায় ৩০০ হেক্টর জমিতে এবং গোরুমারায় ৮০ হেক্টরে ইতিমধ্যেই ঘাস লাগানো হয়েছে। আর এর মাধ্যমে জলদাপাড়ায় লক্ষাধিক কর্মদিবস তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। গোরুমারায় সৃষ্টি হয়েছে ২৫ হাজার কর্মদিবস।
জঙ্গল লাগোয়া বনবস্তির বাসিন্দাদের ওই ঘাস লাগানোর কাজে নিযোগ করা হয়েছে। যাঁদের বেশিরভাগ মহিলা। বন্যপ্রাণীদের বিচরণ ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত জঙ্গলের অনেক দুর্গম এলাকাতেও বাড়ানো হচ্ছে ঘাসজমি। ঝোরা, নদী পেরিয়ে যেতে হয় সেসব জায়গায়।
ফলে কুনকি হাতিদের পিঠে করে শ্রমিকদের সেখানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গোরুমারার ডিএফও দ্বিজপ্রতিম সেন। তিনি বলেন, জঙ্গলে যাঁরা ঘাস রোপণের কাজে যুক্ত হয়েছেন, তাঁদের দিনে ৩৩০ টাকা মজুরি হিসেবে দেওয়া হয়েছে। আমরা প্রতি সপ্তাহে পেমেন্ট করেছি।
এতে জয়েন্ট ফরেস্ট ম্যানেজমেন্ট কমিটির বহু মানুষকে কাজ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য, যাঁরা জঙ্গলে ঘাস রোপণের কাজ করেছেন, তাঁদের অন্তত ৭০ শতাংশ মহিলা। পুজোর আগে তাঁদের হাতে কিছুটা হলেও অর্থ এল।