বুধবার শিবিরে কর্মসাথী প্রকল্পের টেবিলে গিয়ে তিনি একাধিক পরিযায়ী শ্রমিকের সঙ্গে তাঁদের সমস্যা জানতে কথা বলেন। উপস্থিত ছিলেন মালতীপুরের বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সি, চাঁচল মহকুমা শাসক শৌভিক মুখোপাধ্যায়, চাঁচল ২ এর বিডিও শান্তনু চক্রবর্তী, জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল হাই ও শিউলি পারভিন, চাঁচল ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বাদল সাহা ও সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ সহ অন্যরা। পাশাপাশি, মন্ত্রী এদিন চাঁচল মহকুমার সামসি, থাহাঘাটি ও মাগুরা অঞ্চলেও শিবিরে যান।
চড়ুলমনিতে মন্ত্রী বলেন, মালদহ ও মুর্শিদাবাদের রাজমিস্ত্রিদের ভিনরাজ্যে যথেষ্ট কদর রয়েছে। কিন্তু, বাইরে কাজে গিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকরা বিজেপির ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। শ্রমিকরা যাতে নিজেদের এলাকায় কাজ পেয়ে পরিবার নিয়ে থাকতে পারেন, তার জন্যই মুখ্যমন্ত্রী শ্রমশ্রী প্রকল্প চালু করেছেন।
পাশাপাশি, এদিন বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেছেন মন্ত্রী। বলেন, তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিজেপির নির্দেশে ১৮৬ বার কেন্দ্রীয় এজেন্সি বাংলায় তদন্ত করতে এসেছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজে কোনও খুঁত খুঁজে পায়নি। ভিনরাজ্যে বাঙালী পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্তা নিয়ে কেন্দ্রের শাসক দলকে আক্রমণ শানিয়ে মন্ত্রীর মন্তব্য,বিজেপির শরীরে দূষিত রক্ত বইছে। ডায়ালিসিস করে সেটা ভালো করতে হবে।
মন্ত্রীর তোপের পাল্টা জবাব দিতে ছাড়েনি বিজেপিও। দলের রাজ্য কমিটির সদস্য অভিষেক সিঙ্ঘানিয়া বলেন, বাংলায় প্রতিদিন দুর্নীতি হচ্ছে বলেই কেন্দ্রীয় এজেন্সি তদন্তে আসছে। তৃণমূল নেতাদের শরীরে যদি দুর্নীতির রক্ত না থাকত, এজেন্সির প্রয়োজন হতো না। রহিম বক্সি বলেন, পাড়ায় সমাধান শিবিরে সবচেয়ে বেশি ভিড় পরিযায়ী শ্রমিকদের। এই এলাকার প্রচুর শ্রমিক ভিনরাজ্যে কাজ করতে যান। আর যাতে বাইরে যেতে না হয়, তার জন্যই মুখ্যমন্ত্রী শ্রমশ্রী প্রকল্প চালু করেছেন। (চাঁচল ২ ব্লকের চড়ুলমনি হাইস্কুলে পাড়ায় সমাধান শিবির পরিদর্শনে গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী।-নিজস্ব চিত্র )