গুজরাটের ১০ নামগোত্রহীন দলের চাঁদা ৪৩০০ কোটি! খরচ মাত্র ৪০ লক্ষ, ফের প্রশ্নে কমিশন
প্রতিদিন | ২৮ আগস্ট ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটচুরির পর এবার নতুন অভিযোগে কাঠগড়ায় নির্বাচন কমিশন। এবার বেনামী দলের বিরাট অঙ্কের চাঁদা প্রাপ্তি নিয়ে প্রশ্নের মুখে নির্বাচন কমিশন। এক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট তুলে ধরে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন রাহুল গান্ধী।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম দৈনিক ভাস্করে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গুজরাটে রাজনৈতিক দলের নামে বড়সড় দুর্নীতি চলছে। নির্বাচন কমিশনে নামহীনভাবে নথিভুক্ত ১০টি রাজনৈতিক দল গত পাঁচ বছরে সব মিলিয়ে ৪৩ হাজার কোটি টাকা অনুদান পেয়েছে। অথচ নির্বাচনী রাজনীতিতে এই ১০টি দলের সেভাবে কোনও অস্তিত্ব নেই। হিসাবে বলছে, ২০১৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত পাঁচ বছরে এই ১০টি রাজনৈতিক দল চাঁদা হিসাবে এই বিপুল টাকা পেয়েছে। অথচ এই ১০টি দল মিলিয়ে ২০১৯ লোকসভা, ২০২৪ লোকসভা এবং ২০২২ গুজরাট বিধানসভা মিলিয়ে মোটে ৪৩টি প্রার্থী দিয়েছে। তাতে মোট ভোট জুটেছে মাত্র ৫৪ হাজার।
দৈনিক ভাস্করের দাবি, এই ১০টি দল মিলিয়ে বিপুল অনুদান পেলেও খরচ করেছে মাত্র ৪০ লক্ষ টাকা। অথচ অডিট রিপোর্টে দেখানো হচ্ছে এই দলগুলির খরচের অঙ্ক নাকি ৩৫ হাজার কোটি টাকা। কোথায় গেল এত টাকা? এই দলগুলি চালাচ্ছে কারা? এত কোটি কোটি টাকা এদের অনুদানই বা দিচ্ছে কারা? সব মিলিয়ে একাধিক প্রশ্ন এই দলগুলিকে নিয়ে। যার জবাব নির্বাচন কমিশনের কাছেই চাইছে বিরোধীরা। লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী সোশাল মিডিয়ায় দৈনিক ভাস্করের ওই রিপোর্ট তুলে ধরে ফের প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছেন নির্বাচন কমিশনকে।
কমিশনের উদ্দেশে রাহুলের প্রশ্ন, “এই হাজার হাজার কোটি টাকা কোথা থেকে এল। এই দলগুলো কারা চালাচ্ছে। সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, এই এত টাকা গেল কোথায়? নির্বাচন কমিশন কি এবার তদন্ত করবে নাকি এখানেও লিখিত দিতে হবে?” কটাক্ষের সুরে বিরোধী দলনেতা বলছেন, “নাকি এই তথ্যও আড়াল করার চেষ্টা হবে? সে কারণে আইন বদলাবে নির্বাচন কমিশন?”