ধোপে টিকল না কলেজিয়াম সদস্যের আপত্তি, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদে উন্নীত গুজরাটের বিপুল পাঞ্চোলি
প্রতিদিন | ২৮ আগস্ট ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধোপে টিকল না কলেজিয়াম সদস্য বিচারপতি বি ভি নাগরত্নের আপত্তি। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদে উন্নীত হলেন পাটনা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিপুল এম পাঞ্চোলি ও বম্বে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি অলোক আরাধে। বুধবার দু’জনের নিয়োগে ছাড়পত্র দিল কেন্দ্র।
বলে রাখা দরকার, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের কেন্দ্র নিয়োগ করে না। তাঁদের নিয়োগ করার জন্য সুপারিশ করে সুপ্রিম কোর্টেরই পাঁচ সদস্যের কলেজিয়াম। সেই সুপারিশে কেন্দ্র শুধু সিলমোহর দেয়। বুধবার কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল সোশাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, কলেজিয়ামের সুপারিশ মেনে দুই বিচারপতিকে সুপ্রিম কোর্টে উন্নীত করা হল। যার ফলে সুপ্রিম কোর্টে এই মুহূর্তে বিচারপতির সংখ্যা ৩৪। আর কোনও শূন্যপদ রইল না। দীর্ঘদিন বাদে শীর্ষ আদালত পূর্ণশক্তি দিয়ে কাজ করবে।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, পাটনা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিপুল এম পাঞ্চোলির সুপ্রিম কোর্টে ‘উত্তরণ’ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন কলেজিয়াম সদস্য তথা সুপ্রিম কোর্টেরই হবু প্রধান বিচারপতি বি ভি নাগরত্ন। তিনি ওই বিচারপতির নামে একাধিক ‘ডিসেন্ট নোট’ জমা দেন। বিচারপতি নাগরত্নের দাবি ছিল, বিচারপতি বিপুল এম পাঞ্চোলিকে শীর্ষ আদালতে উন্নীত করা হলে ‘আঞ্চলিক সাম্য’ বিঘ্নিত হবে। সুপ্রিম কোর্টে ইতিমধ্যেই দুজন গুজরাটি বিচারপতি আছেন। আরও একজনকে নিয়োগ করলে কলেজিয়ামের স্বচ্ছ্বতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাবে। বিচারপতি বিপুল পাঞ্চোলি হাই কোটের বিচারপতিদের মধ্যে সিনিয়রিটির নিরিখে ৫৭ নম্বরে পড়েন। তার আগের ৫৬ জনের কথা ভাবা হল না কেন? এই বিচারপতি বিপুল পাঞ্চোলির পাটনা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসাবে প্রমোশন নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। চমকপ্রদ বিষয় হল, সুপ্রিম কোর্টে ‘প্রমোশন’ পাওয়ার দু’বছরের মধ্যে প্রধান বিচারপতি হয়ে যাবেন বিচারপতি পাঞ্চোলি। এবং থাকবেন দেড় বছর। সেটাও বেনজির।
যদিও কলেজিয়ামের সদস্য বাকি চার বিচারপতির ভোটে সেই ‘ডিসেন্ট নোট’ খারিজ হয়ে যায়। কিন্তু বিচারপতি নাগরত্ন যে অভিযোগগুলি তুলেছেন, সেগুলি রীতিমতো চাঞ্চল্যকর। কেন্দ্র সেসব অভিযোগ উড়িয়ে ওই বিচারপতিকেই নিয়োগ করল।