সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চাপের মুখে কোনও বাণিজ্য নয়। বুধবার রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের একটি অনুষ্ঠানে এই কথা বলেন মোহন ভাগবত। প্রসঙ্গত, বুধবারই কার্যকর হয়েছে ভারতের উপর ট্রাম্পের চাপানো অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক। শুল্ক নিয়ে ভারত-মার্কিন টানাপড়েনের আবহে ভাগবতের মন্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ভাগবত বলেন, “আন্তর্জাতিক বাণিজ্য থামা উচিত নয়। কিন্তু চাপের মুখে বাণিজ্য হয় না। তাই আমাদের উচিত দেশি পণ্যের প্রচার করা। দেশের বাণিজ্য নীতি বাধ্যবাধকতার ভিত্তিতে নয়, সহযোগিতার ভিত্তিতে হওয়া উচিত।” তিনি আরও বলেন, “আত্মনির্ভর হওয়ার অর্থ আমদানি বন্ধ করা নয়। পৃথিবী চলছে কারণ এটি পরস্পরের উপর নির্ভরশীল। তাই আমদানি-রপ্তানি চলতে থাকবে। তবে, এতে কোনও চাপ থাকা উচিত নয়।”
রাশিয়ার তেল কেনার ‘অপরাধে’ বুধবার থেকে ভারতের বিরুদ্ধে কার্যকর হয়েছে আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক। সম্প্রতি এই ইস্যুতে নোটিস জারি করে হোয়াইট হাউস। আমেরিকার সরকারি ওয়েবসাইটে এই নির্দেশিকার খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। নির্দেশিকা অনুযায়ী, ২৭ আগস্ট আমেরিকার ইস্টার্ন জোনের সময় অনুযায়ী রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে কার্যকর হবে নয়া শুল্ক। যা ভারতীয় সময় অনুযায়ী বুধবার সকাল ৯টা ৩১ মিনিট। নির্দিষ্ট ভাবে সাত পাতার ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এই সময়ের পর থেকে আমেরিকার বাজারে কোনও মার্কিন পণ্য প্রবেশ করলে তার জন্য বাড়তি শুল্ক দিতে হবে। এছাড়া ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর করার কারণও ব্যাখ্যা করা হয়েছে আমেরিকার তরফে। বলা হয়েছে, ভারত রাশিয়া থেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তেল কেনে। যার জেরেই ২৫ শতাংশ অধিক শুল্ক চাপানো হচ্ছে।
যদিও ভারত আমেরিকার এই দাবি সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছে। ভারতের যুক্তি ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চিন রাশিয়া থেকে প্রাকৃতিক গ্যাস এবং অপরিশোধিত তেল কিনছে। আমেরিকাও রুশ পণ্য কেনায় পিছিয়ে নেই। এই অবস্থায় ভারতের উপর শুল্ক চাপানো অন্যায়। স্পষ্টভাবে নয়াদিল্লি জানিয়ে দিয়েছে, রাষ্ট্রের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে যেখানে কম দামে তেল পাওয়া যাবে সেখান থেকেই তেল কিনবে ভারত।