• কাশ্মীরে লাগাতার বৃষ্টিপাত ফেরাল ২০১৪ সালের বন্যার ভয়াবহ স্মৃতি
    বর্তমান | ২৮ আগস্ট ২০২৫
  • ফিরদৌস হাসান, শ্রীনগর: ২০১৪ সালে ভয়ঙ্কর বন্যায় বিধ্বস্ত হয় কাশ্মীর। উপত্যকার বর্তমান পরিস্থিতি সেই বিপর্যয়ের স্মৃতিই উস্কে দিয়েছে। টানা বৃষ্টিতে ক্রমেই বাড়ছে বিভিন্ন নদীর জলস্তর। সবচেয়ে বিপজ্জনক অবস্থা ঝিলমের। এরফলে আতঙ্কে ঘুম ছুটেছে শ্রীনগরের বাসিন্দাদের। ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কায় প্রমাদ গুনছেন ব্যবসায়ীরাও। রাজবাগের পোশাক ব্যবসায়ী বশির আহমেদ দারের গলায় ঝরে পড়ল উদ্বেগ। জানালেন, ‘এগারো বছর আগেই ঠিক এভাবেই বন্যা শুরু হয়েছিল। আচমকা জল উঠে এসেছিল। ডুবে যায় সব কিছু।’ 

    বুধবার সকালে উপত্যকার একাধিক নদীর জলস্তর বিপদসীমা অতিক্রম করে। পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখছে প্রশাসন। যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৈরি রাখা হয়েছে বিশেষ উদ্ধারকারী দলকে। প্রশাসনের আশ্বাস, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। যদিও এই পরিস্থিতির জন্য প্রশাসনকেই দুষছেন কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ। অধিকাংশের ক্ষোভ, বিপর্যয় মোকাবিলায় সরকার আগাম কিছুই ব্যবস্থা নেয়নি। জওহর নগরের বাসিন্দা বশারত মিরের অভিযোগ, ‘বাঁধ নির্মাণ কিংবা বন্যা প্রতিরোধ প্রকল্প- সবই রয়ে গিয়েছে কাগজে-কলমে। স্মার্ট সিটি প্রকল্পও শুধুমাত্র আলো লাগানো আর কয়েকটি বাজার সাজানোতেই সীমাবদ্ধ।’ ২০১৪ সালের বিপর্যয়ের পর এতগুলো বছর  কাটলেও বন্যা প্রতিরোধে কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। 

    অন্যদিকে, ২৪ ঘণ্টা বন্ধ ছিল জম্মু-কাশ্মীরের মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা। বুধবার তা স্বাভাবিক হয়েছে। নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে উপত্যকায় ব্যাঙ্কিং পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। প্রভাব পড়ে উদ্ধারকাজে। জরুরি পরিষেবাগুলিও ব্যাহত হয়। তবে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে বলেই খবর। মঙ্গলবার রাতে জম্মু-কাশ্মীরে সমস্ত টেলিকম পরিষেবা সংস্থাকে ‘ইন্ট্রা-সার্কেল রোমিং’ (আইসিআর) সুবিধা চালুর নির্দেশ দেওয়া হয়। তারপরই স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। এই সুবিধা ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চালু থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)