ভাঙা বাড়িতে হেলিকপ্টার নামিয়ে উদ্ধারে জওয়ানরা, ইরাবতী-শতদ্রুর জলে ডুবল পাঞ্জাব
বর্তমান | ২৮ আগস্ট ২০২৫
চণ্ডীগড়: ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি পাঞ্জাবে। ইরাবতী ও শতদ্রুর জলে ভাসছে আট জেলা। গুরদাসপুর, পাঠানকোট, অমৃতসর, হোসিয়ারপুর, কাপুরথালা, তরণ তারণ, ফিরোজপুর ও ফাজিকায় পরিস্থিতি ক্রমশই অবনতি হচ্ছে। জলের তলায় বিঘের পর বিঘে কৃষিজমি। বানভাসি বহু মানুষ। বুধবার গুরদাসপুরের জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ের বন্যার জলে আটকে পড়েন ৩৮১ পড়ুয়া ও ৭০ শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল ও বিএসএফের সহযোগিতায় তাঁদের উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, স্কুল সংলগ্ন কিরণ নুল্লাহ নিয়মিত সংস্কার না হওয়াতেই বানভাসি হয়ে পড়ে স্কুল চত্বর। ৫-৬ ফুট জলের তলায় চলে যায় এলাকা। পাশাপাশি, মাধোপুর এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২২ জন সিআরপিএফ জাওয়ান এবং তিন জন স্থানীয় বাসিন্দাকে। এরা মঙ্গলবার রাত থেকে আটকা পড়েছিল। সেনা জানিয়েছে, এদিন সকাল ৬টা নাগাদ প্রায় ভেঙে পড়া বাড়ি থেকে হেলিকপ্টারের সাহায্যে দুঃসাহসিক উদ্ধারকার্য চালানো হয়। উদ্ধারকায শেষের পরই বাড়িটি পুরো ভেঙে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, চলতি বছরের বন্যার জলের উচ্চতা ১৯৮৮ সালের ভয়াবহ প্লাবনের তুলনায়ও বেশি। ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলিতে তৈরি হয়েছে রিলিফ ক্যাম্প। ছবি: পিটিআই
Link to this news (বর্তমান)