পাহাড়ে ফের বিপর্যয়! অরুণাচলের রাস্তায় ভয়াবহ ভূমিধস, আটকে একাধিক যাত্রী
আজকাল | ২৮ আগস্ট ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফের এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা অরুনাচল প্রদেশে। ঘটনাটি ঘটেছে তাওয়াং ও দিরাংয়ের মধ্য সড়ক যোগাযোগ স্থানে। খবর অনুযায়ী, এক বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটেছে সোমবার। পশ্চিম কামেং জেলায় এক ভয়ানক ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। ভূমিধসের কারণে দিরাং উপবিভাগের স্যাপার ক্যাম্প এলাকায় যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এহেন পরিস্থিতিতে দুটি গাড়ি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম সূত্র৷
ভূমিধসের পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা গিয়েছে, বড় বড় পাথর পাহাড় থেকে গড়িয়ে নিচে পড়ছে। এর ফলে রাস্তার যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকাজুড়ে। ভিডিওতে গাড়ির চালকদের আতঙ্কে তাঁদের নিজেদের গাড়ি উল্টো দিকে ঘোরাতে এবং একনাগাড়ে কর্কশ হর্ন বাজাতে দেখা যায়। ভূমিধসের জেরে প্রায় ১২০ মিটার রাস্তা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেয়। এই রাস্তা সামরিক ও বেসামরিক উভয় ধরনের চলাচলের জন্য কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি সীমান্তবর্তী তাওয়াং জেলার সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করে। স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, 'রাস্তায় যান চলাচল সম্ভবত মঙ্গলবারের মধ্যে পুনরায় শুরু হতে পারে'।
অন্যদিকে, ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর অরুণাচল প্রদেশে ২৮ অগাস্ট পর্যন্ত ব্যাপক বৃষ্টিপাত ও বজ্রসহ ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে। অনিনি ও ইংকিওং এলাকাকে হলুদ সতর্কতার (Yellow Alert) আওতায় রাখা হয়েছে বলে খবর। সেখানে আপাতত আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকবে এবং হালকা বৃষ্টি হতে পারে। তবে এর পরিমাণ ঘণ্টায় ৫ মিলিমিটার ছাড়াবে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
প্রসঙ্গত, একই দিনে আরেকটি বড় ভূমিধসের ঘটনা ঘটে নাগাল্যান্ডে। নাগাল্যান্ডের রাজধানী কোহিমা ও ওখা শহরের মধ্যে সংযোগকারী এন এইচ -২ ( NH-2) জাতীয় সড়কে। এই ভূমিধসের ফলে পুরো সড়কটি বন্ধ হয়ে যায়। তথ্য অনুযায়ী এই সড়কটি নাগাল্যান্ডের একাধিক জেলার সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করে থাকে। পাশাপাশি এই রুটটি তসেমিন্যু, ওখা, জুঙ্ঘেবোতো জেলার অন্তর্গত পুঘোবোতো উপবিভাগ এবং মোকোকচুং জেলার সঙ্গে রাজধানী কোহিমার যোগাযোগে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, টানা ভারী বৃষ্টির ফলে এহেন ভয়াবহ ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। পাহাড় থেকে ভারী পাথর গড়িয়ে জাতীয় সড়কে পড়ে। এতে রাস্তায় চরম যানযট তৈরী হয়। বহু যাত্রীবাহী ও বাণিজ্যিক যানবাহন সড়কের উভয় পাশে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে পড়ে।
ঘটনার জেরে স্থানীয় পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও জনকল্যাণ বিভাগের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ঘটনাস্থলে অব্যাহত কাদা ও পাথর পড়ার কারণে রাস্তা পরিষ্কারের কাজ এখনও শুরু করা যায়নি। তবে হালকা যানবাহনের চলাচলের জন্য বিকল্প রুট ব্যবস্থার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।