'আমি বদলে গেছি', স্ত্রীকে ভুলিয়ে ফুঁসলিয়ে ঘুরতে নিয়ে গিয়ে গলা কেটে পুড়িয়ে দিলেন স্বামী, কারণ জানলে শিউরে উঠবেন
আজকাল | ২৮ আগস্ট ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফের নৃশংস খুনের অভিযোগ উঠেছে তেলেঙ্গানায়। মেহেবুবনগরের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক। নয়ডা, রাজস্থানের পর এবার তেলেঙ্গানা। স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা করেই, স্ত্রীর গলা কেটে, আগুন জ্বালিয়ে খুন করেছেন ব্যক্তি। মেহবুবনগর পুলিশ সূত্রেই সামনে এসেছে ঘটনাটি। পুলিশ সূত্রে খবর, শ্রীসাইলাম নামের যুবককে ভালবেসে, প্রায় একদশক আগে বিয়ে করেছিলেন শ্রাবণী। নগরকুর্নলের ওই দম্পতির একটি ছেলে এবং একটি মেয়েও রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বিয়ের কয়েকবছর পর থেকেই শ্রীসাইলামের চরিত্র বদলে যেতে থাকে। কথায় কথায় স্ত্রীকে সন্দেহ, চোটপাট শুরু করেন। পরিস্থিতি এমন দিয়ে যায়, দিনের পর দিন অত্যাচারিত হয়ে, স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশে মামলা দায়ের করেছিলেন শ্রাবণী। স্বামীর থেকে আলাদাও থাকছিলেন তিনি। তবে সম্প্রতি শ্রীসাইলাম দাবি করেন, তিনি আর আগের মতো নেই। বদলে গিয়েছেন। মাঝের সময়কালে তিনি হায়দরাবাদে থাকছিলেন। ২১ আগস্ট শ্রাবণীকে ফোন করে তিনি অন্ধ্রপ্রদেশ ঘুরতে যাওয়ার জন্য রাজি করান। শ্রাবণী তাতে রাজিও হন। তখনও তিনি জানতেন না, কী ভয়ানক পরিকল্পনা করে তাঁকে নিয়ে যাচ্ছেন শ্রীসাইলাম।
সূত্রের খবর, এক জায়গায় নিয়ে যয়ায়ার নাম করে আচমকা ঘন জঙ্গলে যান শ্রীসাইলাম। অভিযোগ শ্রাবণীকে গলা কেটে, একের পর এক কোপ বসিয়ে, মৃত্যু নিশ্চিত করতে গায়ে পেট্রোল ঢেলে দেন। শ্রাবণীদের কোনও খোঁজ না পেয়ে, তাঁর বাবা ২৩ আগস্ট নিখোঁজ ডাইরি করেন। তারপরেই সামনে আসে গোটা ঘটনা।
এর আগে রাজস্থান এবং নয়ডায় গায়ে আগুন এবং মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে। গ্রেটার নয়ডায় যুবতীকে গায়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠে এসেছে। অন্যদিকে রাজস্থানে এক যুবতী গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। পুড়িয়ে মেরেছেন নিজের তিন বছরের মেয়েকে। ওই শিক্ষিকা, একটি চিঠিতে লিখে গিয়েছেন, স্বামী, শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারের কারণেই তিনি এই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, তখন ওই শিক্ষিকার শ্বশুরবাড়ির কেউ ছিলেন না ঘরে। জানা গিয়েছে, তিন বছরের শিশু কন্যায় মৃত্যু হয় ঘটনাস্থলেই। হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু হয় শিক্ষিকার। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ওই স্কুল শিক্ষিকা একটি চিঠিতে তাঁর মৃত্যুর জন্য স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে পনের এবং অত্যাচারের অভিযোগ তুলেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে স্কুল থেকে ফিরে, ঘরে চেয়ারে বসে নিজের গায়ে পেট্রোল ঢালেন যুবতী। গায়ে পেট্রোল ঢালেন তিন বছরের শিশু কন্যারও। সেই সময় বাড়িতে স্বামী, শ্বশুরবাড়ির কেউই ছিলেন না। পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয়রা ওই বাড়িতে ধোঁয়া দেখেই ওই শিক্ষিকার পরিবারের সদস্যদের জানান। খবর পেয়েই তাঁরা যখন বাড়িতে পৌঁছন, অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে ততক্ষণে।
গ্রেটার নয়ডার ঘটনা। তরুণীর নাম, নিক্কি। তাঁর দিদিও ওই বাড়ির এক সদস্যের সঙ্গে বিয়ে করেন। তিনি জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে নিক্কির বিয়ে হয় সিরসা গ্রামে। বিয়ের ছয় মাস পর থেকেই শুরু হয় শারীরিক নির্যাতন। নিক্কি ও দিদির উপর চরম শারীরিক নির্যাতন করতেন শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। পণ হিসেবে দুজনের থেকে ৩৬ লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন তাঁরা।
নিক্কির দিদি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। মারতে মারতে সন্তানের চোখের সামনেই নিক্কির গায়ে আগুন জ্বালিয়ে দেন। বাঁচার জন্য গায়ে আগুন নিয়েই সিঁড়ি দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় নিক্কির মৃত্যু হয়েছে।