আগের কোনও নির্বাচন কমিশনার যা পারেননি তা করে দেখালেন বর্তমান 'বিতর্কিত' কমিশনার! কীভাবে বিজেপির 'অস্বস্তি' বাড়ালেন তিনি? জানলে চমকে উঠবেন...
আজকাল | ২৮ আগস্ট ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: নতুন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের কার্যকলাপকে ঘিরে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, তিনি নিরপেক্ষতার বদলে বিজেপির পক্ষে অবস্থান নিচ্ছেন। কিন্তু উল্টে এই বিতর্কই বিরোধী শিবিরকে এক জোটে বেঁধে দিয়েছে, যা অনেকেই অপ্রত্যাশিত বলেই মনে করছেন।
লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই প্রশ্ন তুলছিল বিরোধীরা। এবার বিহারের বিশেষ ভোটার তালিকা পুনর্বিবেচনা অভিযান—SIR—নিয়ে বিরোধী দলগুলোর মধ্যে নতুন করে ক্ষোভ জমেছে। বিরোধীরা একে সরাসরি “ভোট চুরি”র প্রক্রিয়া বলে অভিযুক্ত করছে। এই ইস্যুতেই INDIA জোট আবার নতুন উদ্যমে পথে নেমেছে। এমনকি আম আদমি পার্টি, যারা কিছুদিন আগে জোট থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছিল, তারাও এখন আবার প্রতিবাদের অংশ হতে বাধ্য হয়েছে।
জ্ঞানেশ কুমারের বিরুদ্ধে বিরোধীরা এখন ইমপিচমেন্ট আনার কথাও ভাবছে। সংসদের ভেতরে ও বাইরে জোরালোভাবে এই দাবি উঠছে। বিরোধীদের অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনের মতো একটি সাংবিধানিক সংস্থা যদি নিরপেক্ষতা হারায়, তবে গণতান্ত্রিক কাঠামোই বিপদের মুখে পড়বে।
এদিকে রাজনীতির ময়দানে আরও একটি ঘটনা শোরগোল তুলেছে—আগের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের হঠাৎ পদত্যাগ এবং তারপর থেকে কার্যত অদৃশ্য হয়ে যাওয়া। সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশনের মাঝখানে এই ঘটনা ঘটায় নানা প্রশ্ন উঠেছে। বিরোধীরা বলছে, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে অস্বাভাবিকভাবে নাড়া দেওয়া হচ্ছে, আর এর নেপথ্যে বিজেপির পরিকল্পিত ভূমিকা রয়েছে।
জ্ঞানেশ কুমার সহ নির্বাচন কমিশনের আগের প্রধান রাজীব কুমারের নিয়োগ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বিরোধীদের মতে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘনিষ্ঠ মানুষদের কমিশনে বসিয়েছেন। ২০২৩ সালে আইন পরিবর্তন করে প্রধান বিচারপতির পরিবর্তে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করার ফলে এই অভিযোগ আরও জোরদার হয়েছে।
সমালোচকদের মতে, নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে এমন প্রশ্ন ভারতের গণতন্ত্রে গভীর সংকট তৈরি করছে। তবে এই সংকটই বিরোধীদের একত্রিত করেছে। বিজেপি যেখানে বিরোধী জোটকে ভাঙতে চেয়েছিল, সেখানে বিতর্কিত সিইসিই পরিহাসজনকভাবে বিরোধীদের সবচেয়ে বড় ঐক্যের প্রতীক হয়ে উঠেছেন।