আজকাল ওয়েবডেস্ক: কর্মব্যস্ততার কলকাতা একটি নারকীয় ঘটনার সাক্ষী থাকল। নাবালিকা গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল কলকাতা মুচিপাড়া থানায় এলাকায়। এই ঘটনায় এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য অভিযুক্তের খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ধৃতকে বুধবার আদালতে পেশ করে পুলিশি হেফাজতের আবেদন করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিতার বয়স ১২ বছর। মুচিপাড়া থানায় নির্যাতিতার পরিবার গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছে। গত ২৫ আগস্ট সোমবার রাত সাড়ে ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে এজেসি বোস রোডের এক হোটেলে (হোটেল সিটি ভিস্তা) মদ্যপ অবস্থায় তাদের মেয়েকে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে মুচিপাড়া থানায় অভিযোগ জানিয়েছে নাবালিকার পরিবার। পরিবারের আরও অভিযোগ, তাদের মেয়েকে দু’জনেরও বেশি ব্যক্তি মিলে ধর্ষণ করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তদের মধ্যে দু’জনের নাম সামনে এসেছে, যথাক্রমে জয় সাহানি(১৯) এবং রোহন সাহানি(২২)। বাকিদের নাম জানা যায়নি এখনও পর্যন্ত। পুলিশ রোহনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং তাঁকে বুধবার আদালতে পেশ করেছে। বাকিদের এখনও গ্রেপ্তার করা যায়নি।
পরিবারের আরও অভিযোগ, গত সোমবার সন্ধ্যের সময় তাদের প্রতিবেশী (সম্পর্কে নির্যাতিতার দিদি) দিদি জন্মদিনের পার্টি আছে বলে বাড়িতে না জানিয়েই নাবালিকাকে হোটেলে নিয়ে যায় এবং তাকে বলে যে রাতেই পার্টি করে ফিরে আসবে। সেই কথামতোই ওই পাড়াতুতো দিদির সঙ্গে নাবালিকা কোন কিছু না বুঝে চলে যায়। সেখানে তাকে জোর করে মদ্যপান করানো হয় বলেও অভিযোগ পরিবারের। তাকে ফিরতে দেয়নি হোটেলে উপস্থিত সকলে। নাবালিকাকে নেশাগ্রস্ত করিয়ে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ পরিবারের। নাবালিকার পরিবার আরও জানিয়েছে, না জানিয়ে নিয়ে যাওয়ার কারণে সারা রাত তারা চারিদিকে তল্লাশি করেও খোঁজ পাননি তাদের মেয়ে কোথায় গেল। এর পরেই তারা পুলিশের দ্বারস্থ হয়। পরের দিন সকালে রোহন নাবালিকাকে তার বাড়ির সামনে ছেড়ে দিয়ে চলে যায়। বাড়িতে ফিরলে তার বাবা-মা তার শরীরে নানা জায়গায় আচরের দাগ দেখতে পায় এবং এরপর তাকে জিজ্ঞাসা করলে নাবালিকা জানায় তার সঙ্গে একাধিক ব্যক্তি বলপূর্বক যৌন হেনস্তা করেছে। এমনটাই পরিবারের অভিযোগ। যদিও পুলিশ সূত্রে খবর, নাবালিকা বয়ান দিয়েছে তাকে হোটেলে ডেকে ধর্ষণ করেছে, কিন্তু গণধর্ষণ কি না সেই বিষয়ে উল্লেখ করেনি পুলিশ।
লালবাজার পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার পূর্ণ তদন্ত চলছে এবং এখনও পর্যন্ত এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্ত পাড়ার দিদি অর্থাৎ যার সঙ্গে নাবালিকা গিয়েছিল তাকে মুচিপাড়া থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে রাখা হয়েছে। তবে তদন্ত চলছে, এর ঘটনার সঙ্গে কারা কারা যুক্ত রয়েছে এবং বাকি অভিযুক্তরা কে কে এবং অপর অভিযুক্ত জয় সাহানি কোথায়? সবটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের পরেই গোটা বিষয়টি স্পষ্ট জানা যাবে বলেই ধারণা পুলিশের।