পড়ার চাপে পড়ুয়াদের খেলার সময় কমছে। পড়াশোনার বাইরে যেটুকু সময় পাচ্ছে তারা, অধিকাংশ পড়ুয়া বুঁদ থাকছে সমাজমাধ্যম আর মোবাইলে। মোবাইল-আসক্তি কমিয়ে পড়ুয়াদের খেলার মাঠে নিয়ে যেতে এ বার উদ্যোগী হল খাস সিআইএসসিই বোর্ড। তাদের অধীনস্থ প্রতিটি স্কুলকে বোর্ডের নির্দেশ, আগামী ২৯ থেকে ৩১ অগস্ট অন্তত এক ঘণ্টা পড়ুয়াদের জন্য বিভিন্ন ধরনের খেলার বন্দোবস্ত করতে হবে। সিআইএসসিই বোর্ডের সচিব জোসেফ ইমানুয়েল জানিয়েছেন, ২৯ অগস্ট প্রবাদপ্রতিম হকি খেলোয়াড় ধ্যানচাঁদের জন্মদিন। সেই উপলক্ষেই এমন উদ্যোগ। তবে বোর্ড এ-ও স্মরণ করিয়ে দিয়েছে, শুধু এই তিন দিন নয়। খেলাধুলোর অভ্যাস রাখতে হবে বছরভর। সেই সঙ্গে ২৯ অগস্ট তারিখটি ‘জাতীয় খেলা দিবস’ হিসাবে প্রতিটি স্কুলকে উদ্যাপন করতে হবে।
বোর্ড জানিয়েছে, ২৯ অগস্ট জাতীয় খেলা দিবসের অঙ্গ হিসাবে প্রত্যেক পড়ুয়াকে শপথ নিতে হবে, ‘‘খেলার মাঠে এক ঘণ্টা কাটাবই। সব সময়ে শারীরিক ও মানসিক ভাবে সুস্থ থাকব। আবেগের বিষয়ে সমন্বয় রেখে চলব। আমি আমার পরিবার এবং বন্ধুদেরও সুস্থ থাকার জন্য খেলাধুলো করায় উৎসাহ দেব। খেলার মাধ্যমে যে একতা, মূল্যবোধ, দলগত ঐক্য তৈরি হয়, তা জীবনের সব ক্ষেত্রে প্রয়োগ করব।’’
বিভিন্ন স্কুলে পড়ুয়ারা কী কী ধরনের খেলায় অংশ নিতে পারে, তার নমুনাও দিয়েছে সিআইএসসিই বোর্ড। এর মধ্যে যেমন রয়েছে সাইকেল চালানো এবং যোগব্যায়াম, তেমনই রয়েছে দৌড়, ম্যারাথন, টাগ অব ওয়ার, খোখো, ক্রিকেট, কবাডি, ভলিবল। খেলার রেকর্ডিং করে সমাজমাধ্যমে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বোর্ডের মতে, সেই ভিডিয়ো দেখে অন্যরাও উৎসাহিত হবে।
ন্যাশনাল ইংলিশ স্কুলের অধ্যক্ষা মৌসুমী সাহা বলেন, ‘‘দীর্ঘক্ষণ মোবাইলে মগ্ন থাকা পড়ুয়াদের যেমন মনঃসংযোগ কমছে, অনেকে অবসাদেরও শিকার হচ্ছে। এ সবের থেকে বেরিয়ে এসে অবসর সময়ে অন্তত এক ঘণ্টা খেলাধুলো করা ভীষণ জরুরি।’’