• কেস ডায়েরি পেশ না করে উষ্মার মুখে ইডি
    আনন্দবাজার | ২৮ আগস্ট ২০২৫
  • কেস ডায়েরি পেশ করতে না-পারায় বিচার ভবনের বিশেষ সিবিআই আদালতে বিচারকের অসন্তোষের মুখে পড়লেন ইডি-র তদন্তকারী অফিসার। পোল্ট্রি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ-সহ একাধিক সংস্থা খুলে প্রায় ১৯০ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক জালিয়াতির মামলায় অভিযুক্ত হরিশ বাগলা নামে এক ব্যবসায়ীকে বুধবার বেলা ১১টা নাগাদ আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। সেই মামলায় বিচারক কেস ডায়েরি চাইলে তা পেশ করতে পারেননি তদন্তকারী অফিসার। ক্ষুব্ধ বিচারক এর পরেই শুনানি স্থগিত করে বলেন, ‘‘কেস ডায়েরি পেশ করার পর শুনানি করা হবে।’’ বেলা দু’টোর পরে তদন্তকারী অফিসার কোর্টে কেস ডায়েরি পেশ করলে ফের শুনানি শুরু হয়। বিচারক ৩০ অগস্ট পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

    মঙ্গলবার সকাল থেকে হরিশ বাগলার যশোর রোডের একটি আবাসনের ফ্ল্যাটে তল্লাশি শুরু করে ইডি। পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদও চলেছিল। মঙ্গলবার রাতেই হরিশকে গ্রেফতার করে কলকাতা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের (সিজেএম) আদালতে পেশ করা হয়েছিল। একদিনের হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন সিজেএম। এ দিন তাই নিয়মমাফিক বিশেষ কোর্টে হরিশকে হাজির করে ইডি। ইডি-র কৌঁসুলি বলেন, ‘‘বিভিন্ন উপায়ে কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। ধৃত ব্যবসায়ীর ফ্ল্যাট এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের বাড়িতেও তল্লাশি করে বহু নথি উদ্ধার হয়েছে। মিলেছে নগদ টাকা। এই মামলায় অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা প্রয়োজন আছে।’’

    ইডি সূত্রের দাবি, হরিশের বাড়ি থেকে নগদ ৫০ লক্ষ টাকা, ৪১টি প্যান কার্ড এবং শতাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযোগ, অন্তত ত্রিশটি ভুয়ো সংস্থা খুলেছেন ওই ব্যবসায়ী। উদ্ধার করা হয়েছে আশিটি সম্পত্তির দলিল। সেগুলি ওই ভুয়ো সংস্থার নামে কেনা হয়েছিল। রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি মিলিয়ে মোট পাঁচটি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন হরিশ। কেন্দ্রীয় কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রকের অধীনস্থ ‘সিরিয়াস ফ্রড ইনভেস্টিগেশন অফিস’-এ একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক হরিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায়। সেই সূত্র ধরেই এই মামলার তদন্ত শুরু করেছে ইডি।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)