• অগ্নিকাণ্ড মোকাবিলায় আদর্শ কার্যবিধি মুখ্যমন্ত্রীর গড়া কমিটির
    আনন্দবাজার | ২৮ আগস্ট ২০২৫
  • মেছুয়ার হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের পরে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি কমিটি তৈরি করেছিলেন আগেই। আগুনের বিপদ ঠেকাতে কী কী করণীয়, সে বিষয়ে বুধবার কলকাতা পুর ভবনে কমিটির সদস্যেরা বৈঠক করেন। সেখানে একটি ‘এসওপি’ (স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিয়োর) বা আদর্শ কার্যবিধি তৈরি করা হয়েছে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম ছাড়াও বৈঠকে ছিলেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, নগরপাল মনোজ বর্মা, এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জাভেদ শামিম প্রমুখ।

    পরে মেয়র জানান, পুরনো বাড়ি হলে ছাদের ৫০ শতাংশ রেস্তরাঁ হিসাবে শর্তসাপেক্ষে ব্যবহার করা যাবে। ছাদের বাকি ৫০ শতাংশ জায়গা খালি রাখতে হবে। ছাদের রাস্তার দিকের অংশ খালি রাখতে হবে। আগুন লাগলে দমকল যাতে মই বেয়ে ছাদে পৌঁছতে সমস্যায় না পড়ে, সে দিকে নজর রাখতে হবে। মেয়র জানান, বাড়ির সিঁড়ি খালি রাখতে হবে। স্টিফেন কোর্টের অগ্নিকাণ্ডে সিঁড়ির একাংশে কোল্যাপসিবল গেট বন্ধ থাকায় অনেকের মৃত্যু হয়েছিল।

    মেয়র জানান, বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত বাড়ির ক্ষেত্রে দু’দিকে সিঁড়ি থাকতে হবে। স্কুল ভবন, হোটেল, রেস্তরাঁ বা কারখানার মতো যেগুলি বসত বাড়ি নয়, সেগুলির ক্ষেত্রে দমকল তৃতীয় কোনও সংস্থাকে দিয়ে ফায়ার অডিট করাবে। তারা ছাড়পত্র দিলে তবেই ফায়ার লাইসেন্স মঞ্জুর করবে প্রশাসন। পুরনো বাড়ির ছাদের ৫০ শতাংশ জায়গায় রেস্তরাঁ করা গেলেও সেখানে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করা যাবে না। বৈদ্যুতিক উনুন ব্যবহার করা যাবে।

    মেয়র জানান, নতুন যে বিল আসছে, সেই অনুযায়ী, নতুন বাড়ির ক্ষেত্রে পুরো ছাদই উন্মুক্ত রাখতে হবে। সেটির একাংশ বিক্রি করা যাবে না। পুরনো যে সমস্ত বাড়ির ছাদে রেস্তরাঁ আছে, সেগুলির মালিকেরা ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লিখিত ভাবে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আবেদন করবেন। বিধি মানা হচ্ছে কিনা, জানতে সে দিকে কড়া নজর রাখা হবে। তাঁদের আবেদনের তিন মাস পরে কলকাতা পুলিশ, দমকল ও পুরসভা সংশ্লিষ্ট বাড়ির ছাদের রেস্তরাঁ পরিদর্শন করে তবেই ছাড়পত্র দেবে।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)