• ‘বেলা’র সংগ্রামের সঙ্গে মিলে গেল ঋতুপর্ণার জীবন! নিজের কোন অজানা কাহিনি শোনালেন নায়িকা
    আনন্দবাজার | ২৮ আগস্ট ২০২৫
  • বেলা দে, সে সময়ের এক যুগান্তকারী মহিলা। সে যুগে মেয়েদের বাড়ির বাইরে কাজ করাই ছিল একটা বড় ব্যাপার। সেই বেলা এ বার বড় পর্দায়। নেপথ্যে পরিচালক অনিলাভ চট্টোপাধ্যায়। গোঁড়া পরিবারের নানা নিয়ম-কানুন পেরিয়ে, অনেক যুদ্ধ করে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বেলা। ব্যক্তিজীবনে পর্দার বেলা, অর্থাৎ ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকেও অনেক লড়াই করতে হয়েছে। সেই কাহিনিই শোনালেন অভিনেত্রী।

    তাঁর পরিবারের প্রায় সবাই সরকারি দফতরের উচ্চপদস্থ কর্মচারী। সেখানে পরিবারের মেয়ে অভিনেত্রী হবে, কোনও ভাবেই চাননি তাঁর বাবা। ঋতুপর্ণা বললেন, “অনেক লড়াই করতে হয়েছে আমাকেও। প্রযোজকেরা ফোন করতেন। বাবা ফোন তুলে বলে দিতেন, ‘না আমার মেয়ের কোনও আগ্রহ নেই সিনেমায়। এখানে আর ফোন করবেন না’। উনি চাইতেন আমিও আইএস, আইএফএস অফিসার হই।” কিন্তু এ ক্ষেত্রে তাঁর মা অনেকাংশে সাহায্য করেছিলেন। এখানেও বেলার জীবনের সঙ্গে অনেক মিল রয়েছে ঋতুপর্ণার।

    ‘মহিলামহল’-এর বেলার মা সব সময় চাইতেন তাঁর মেয়ে যেন জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়। তাই পরিবারের শত বাধা সত্ত্বেও রান্নার বই লিখে বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন বেলা। অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলেন তাঁর মা। ২৯ অগস্ট ছবিমুক্তির আগে অভিনেত্রীর তাই বার বার নিজের মায়ের কথাই মনে পড়ে যাচ্ছে। এই ছবির শুটিংয়ের সময়ই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তাঁর মা। শটের ফাঁকে ফাঁকে হাসপাতালে যেতেন অভিনেত্রী। সব মিলিয়ে এই ছবি তাঁর জীবনে এক অন্য গুরুত্ব তৈরি করেছে। ঋতুপর্ণার কথায়, “সব সময় এমন কিছু ছবিতে কাজ করতে চাই, যার মাধ্যমে আমাদের ইতিহাস তুলে ধরতে পারব। ছবিতে ‘মহিলামহল’-এর যে দৃশ্যের শুটিং হয়েছিল, সেই সেট পড়েছিল ‘হিন্দুস্তান রেকর্ডস’-এর স্টুডিয়োয়।” এটি এশিয়ার সবচেয়ে পুরনো অডিয়ো রেকর্ড স্টুডিয়ো বলে খ্যাত। বহু গুণী মানুষ সেই স্টুডিয়োয় রেকর্ড করেছেন। নায়িকা জানালেন, জীবনের সেরা স্মৃতি হয়ে থাকবে ‘বেলা’ ছবির শুটিংয়ের মুহূর্ত।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)