গাছ থেকে ঝুরঝুর করে ঝরছে টাকা! ৫০০ 'টাকার বৃষ্টি' দেখে শুরু হুড়োহুড়ি, আসল কারণ জানলে মাথায় হাত পড়বে
আজকাল | ২৮ আগস্ট ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: জনপ্রিয় হিন্দি সিনেমা 'ফির হেরা ফেরি'র সেই দম ফাটানো হাসির দৃশ্যটি মনে আছে? যেখানে এক গরিলার কীর্তিতে শোরগোল পড়েছিল। কোটি কোটি টাকার হীরে নীচে ছুড়ে দিচ্ছিল গরিলা। সেই হীরে কুড়তোই হুড়োহুড়ি শুরু হয় সকলের মধ্যে। সিনেমার সেই হাসির দৃশ্য এবার বাস্তবেও ঘটে গেল। বাস্তবে শুধুমাত্র হীরের বদলে হাজার হাজার টাকার বৃষ্টি দেখা গেল।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আউরাইয়া জেলায়। এক স্কুল শিক্ষকের সঙ্গেই এমন অবিশ্বাস্য ঘটনাটি ঘটেছে। জানা গেছে, বাইকের ট্রাঙ্ক থেকে একটি ব্যাগ ছোঁ মেরে নিয়ে পালিয়ে যায় বাঁদর। গাছে উঠে যায় টাকা ভর্তি ব্যাগটি নিয়ে। এরপর গাছের উপর থেকে ঝুরঝুর করে নীচে পড়ে সেই টাকা। যা কুড়োতে গিয়ে ওই এলাকায় হুলস্থুল কাণ্ড ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, দোদাপুর গ্রামে এক বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক রোহিতাস চন্দ্র। একটি জমি কেনার জন্য ৮০ হাজার টাকা নিয়ে ওই তালুকে এসেছিলেন। ৮০ হাজার টাকা একটি ব্যাগের মধ্যে ভরে মোটরবাইকের পিছনে রেখেছিলেন। শিক্ষকের নিজের কাছেও প্রচুর প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ছিল। আচমকা একটি বাঁদর এসে বাইকের পিছনে থেকে ওই টাকা ভর্তি ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়।
বাঁদরের হয়তো ধারণা ছিল, ব্যাগের মধ্যে খাবার আছে। সেই কারণেই গাছে উঠে ব্যাগটি খুলেছিল সে। কিন্তু কোনও খাবার খুঁজে না পাওয়ায়, হতাশ হয়ে পড়ে। গাছের ডালে বসেই ব্যাগটি নীচে ফেলে দেয়। সঙ্গে সঙ্গে ব্যাগ থেকে সমস্ত টাকা ঝুরঝুর করে নীচে পড়ে। যা কুড়নোর জন্য আশেপাশে লোকজন ছুটে আসেন। টাকা কুড়োতে গিয়ে হুড়োহুড়িও শুরু হয়।
সম্প্রতি এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় হু হু করে ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে দেখা গেছে, সবগুলোই ৫০০ টাকার নোট ছিল। অনেকেই একাধিক নোট কুড়নোর জন্য ঠায় দাঁড়িয়েছিলেন। অনেকেই কয়েক হাজার টাকার নোট সংগ্রহ করেন। শোরগোল শুনেই ওই শিক্ষক ছুটে আসেন।
জানা গেছে, ওই এলাকা থেকে মোট ৫২ হাজার টাকা কুড়িয়ে পেয়েছিলেন শিক্ষক। বাকি ২৮ হাজার টাকা স্থানীয়রাই চুরি করে পালিয়ে যান। স্থানীয়রাও জানিয়েছেন, ওই এলাকায় বাঁদরের উপদ্রবে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। অনেকেই থানায় ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ঘটনাটির ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই একাংশের নেটিজেনরা হেসে লুটোপুটি খান। আবার অনেকেই ওই শিক্ষকের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন। একজন লিখেছেন, 'এটি মজার বিষয় নয়। কষ্টার্জিত টাকা চোখের সামনে এভাবে নষ্ট হলে কান্না পাওয়ার কথা।' আবার একজন লিখেছেন, 'বাঁদরের জন্য কত পরিবারের মুখে হাসি ফুটল।' কেউ আবার মজা করে লিখেছেন, 'টাকা চুরির জন্য বাঁদরটাকে কি গ্রেপ্তার করা হবে?'