• ব্যস্ত সময়ে পরিষেবা থমকে যাওয়ার অভিযোগ যাত্রীদের, মেট্রো যা জানাল জেনে নিন...
    আজকাল | ২৮ আগস্ট ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ অফিসের ব্যস্ত সময়ে ফের মেট্রো পরিষেবায় আংশিক সমস্যা দেখা দিল। টালিগঞ্জ থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম অবধি মেট্রো পরিষেবা সাময়িক থমকে ছিল। জানা গেছে, প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে ওই দুই স্টেশনের মধ্যে মেট্রো পরিষেবা পাননি যাত্রীরা। এর জেরে অফিস টাইমে স্টেশনে স্টেশনে অপেক্ষা বাড়তে থাকে বহু মানুষের। মেট্রো পরিষেবা নিয়ে এই অভিযোগ ছিল যাত্রীদের। যদিও মেট্রোর জনসংযোগ আধিকারিকের দপ্তর থেকে জানানো হয়, পরিষেবা একদম স্বাভাবিকই আছে। কোনও বিঘ্ন ঘটেনি। হয়ত কিছুটা দেরিতে চলায় সাময়িক এই সমস্যা হয়েছে।

    জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার কিছু আগে থেকে এই নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় যাত্রীদের। যদিও দক্ষিণেশ্বর থেকে টালিগঞ্জ পর্যন্ত পরিষেবা স্বাভাবিক ছিল। আধঘণ্টা পর পুরোটাই স্বাভাবিক হয়ে যায়। যাত্রীরা মেট্রোয় চেপে নিজ নিজ গন্তব্যে রওনা দেন। 

    প্রসঙ্গত, বর্তমানে রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য কবি সুভাষ স্টেশন অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে মেট্রোর ‘ব্লু লাইন’ (দক্ষিণেশ্বর–কবি সুভাষ)–এ এখন প্রান্তিক স্টেশন শহিদ ক্ষুদিরামই। 

    কলকাতা মেট্রোর বর্তমানে যতগুলি লাইন চালু রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই ব্লু লাইন। ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রো রুট সম্পূর্ণ চালু হয়ে যাওয়ার পরে ব্লু লাইনের গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্রিজি, নাকতলা, গড়িয়া বাজার, বাঁশদ্রোণী থেকে স্বল্প সময়ে হাওড়া বা শিয়ালদহ পৌঁছে যাওয়া যায় এসপ্ল্যানেড হয়ে। 

    প্রসঙ্গত, সোমবার থেকেই ব্লু লাইনে কিছু মেট্রো পরিষেবার যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। শহিদ ক্ষুদিরাম স্টেশনের বদলে সেগুলি টালিগঞ্জ স্টেশন পর্যন্ত যাচ্ছে। কোন কোন মেট্রো টালিগঞ্জ স্টেশন পর্যন্ত চলাচল করছে, তা নিয়ে পৃথক কোনও সূচি প্রকাশ্যে আসেনি বলে যাত্রীদের অভিযোগ। মেট্রো সূত্রে খবর, আপ এবং ডাউনে ট্রেনের লাইন পরিবর্তনের ব্যবস্থা শহিদ ক্ষুদিরামে না–থাকায় পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে কখনও কখনও। আবার দ্রুত তা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। 

    শহিদ ক্ষুদিরামে ডাউন লাইনের ট্রেনকে দক্ষিণেশ্বরগামী করার জন্য লাইন পরিবর্তন সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে ওই লাইনে আসা ট্রেনই আবার দক্ষিণেশ্বরের দিকে রওনা দেয়। ফলে একই লাইনে পর পর ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে কখনও সখনও। তাতে সমস্যার সৃষ্টি হয়। সেই কারণেই কিছু মেট্রোকে শহিদ ক্ষুদিরাম স্টেশনের বদলে টালিগঞ্জ থেকেই ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

    তবে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা নাগাদ যাত্রীরা অভিযোগ করতে থাকেন, প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে কোনও পরিষেবাই মেলেনি না টালিগঞ্জ থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম স্টেশন পর্যন্ত। যদিও মেট্রোর জনসংযোগ আধিকারিকের দপ্তর থেকে জানানো হয়, পরিষেবা একদম স্বাভাবিকই আছে। কোনও বিঘ্ন ঘটেনি। হয়ত কিছুটা দেরিতে চলায় সাময়িক এই সমস্যা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার অর্থাৎ ২২ আগস্ট যশোর রোড মেট্রো স্টেশনে সবুজ পতাকা উড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কলকাতা মেট্রোর বিস্তারের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছিলেন। একসঙ্গে তিনটি নতুন করিডরের উদ্বোধনের ফলে মেট্রোর দৈর্ঘ্য এক লাফে বেড়ে গিয়েছে ১৪ কিলোমিটার। এর মধ্যে গ্রিন লাইন চালু হয়ে যায় ২২ আগস্ট থেকে। আর ইয়েলো ও অরেঞ্জ লাইনে যাত্রী পরিবহন শুরু হয় গত ২৫ আগস্ট থেকে। 

    অবশ্য এটাও ঘটনা, মেট্রোয় কিন্তু মাঝে মাঝেই পরিষেবা বিঘ্নিত হতে দেখা যাচ্ছে। কখনও টানেলে জল দাঁড়িয়ে যাচ্ছে তো কখনও যান্ত্রিক ত্রুটি। এমনকী নির্ধারিত সময়ের অনেক পড়ে পড়ে মিলছে পরিষেবা। যা নিয়ে ক্রমশ ক্ষোভ বাড়ছে যাত্রীদের মধ্যে। 

     
  • Link to this news (আজকাল)