• সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটিতে বিশেষ বক্তৃতামালার আয়োজন
    আজকাল | ২৮ আগস্ট ২০২৫
  •  আজকাল ওয়েবডেস্ক: সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটিতে বিশেষ মাসিক বক্তৃতামালার আয়োজন। 'ডিকলোনাইজেশন অফ নলেজ অ্যান্ড ডিকলোনিয়াল পেডাগগি: লুকিং ব্যাক অ্যান্ড মুভিং ফরোয়ার্ড' শীর্ষক এই আলোচনায় প্রতি মাসে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন গবেষক, অধ্যাপকরা থাকছেন এই বিষয়ে বক্তৃতা দিতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারডিসিপ্লিনারি স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ বিভাগ গত এপ্রিল মাস থেকে এটি বিশেষভাবে আয়োজন করছে। এবারে বক্তব্য রাখবেন অধ্যাপক মদিনা ত্লস্তোনোভা।

    প্রফেসর মদিনা ত্লস্তোনোভা একজন উত্তর-ঔপনিবেশিক নারীবাদের গবেষক। ২০১৫ সাল থেকে টেমা জি-তে তিনি এই গবেষণা করছেন। গবেষণার এই ক্ষেত্রে তিনি এক প্রথিতযশা নাম। এর পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক শিল্প, বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাদুঘরগুলির উপনিবেশ-উত্তরীকরণ, গ্লোবাল সাউথের নারীবাদ সম্পর্কিত একাডেমিয়ার ভেতরে এবং বাইরে অনেক প্রকল্পের সঙ্গে  জড়িত। তাঁর কিছু চর্চিত গবেষণার মধ্যে আছে, 'ডিকলোনিয়াল ফেমিনিস্ট ইস্থেটিক্স অ্যান্ড সেন্সিবিলিটিস ইন ফিল্মমেকিং' এবং 'দ্য ডেডলকস্ অফ মেমোরি অ্যান্ড দ্য (নো লংগার) পোস্ট সোভিয়েত কলোনিয়ালিটি, অর ক্যান মেমোরি বি ডিকলোনাইজড্?'। তিনি বর্তমানে লিংকোপিং বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছেন। তাঁর বক্তব্যের বিষয় হল, ' ডিকলোনিয়ালিটি রিভিজিটেড: হোয়াট স্টিল মেকস্ সেন্স অ্যান্ড হোয়াট নিডস টু বি রিথট'। 

    এই বিষয়টি নিয়ে ভারতে চর্চিত সমাজবিজ্ঞানের পরিধিতে এর আগে তেমন করে আলোচনা হয়নি। সে দিক থেকে দেখতে গেলে বিষয় হিসাবে এটি অভিনব। ভারত যেমন উপনিবেশ ও ঔপনিবেশিক মানসিকতার ঐতিহাসিক উদাহরণ হওয়া সত্ত্বেও, দীর্ঘদিন গবেষণার এই অধ্যায়ে তেমন কেউ আলো ফেলেনি।  ভারতে সমাজবিজ্ঞানের চর্চাতেও এই দিকটি অনালোকিত থেকেছে। এই বক্তৃতা সেই উপেক্ষিত বিষয়ে আলো ফেলবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

    পূর্বে এ বিষয়ে মন্তব্য রেখেছিলেন অধ্যাপক আনন্দ লাল৷ তিনি ভারতীয় শিক্ষাবিদ এবং থিয়েটার সমালোচক। তিনি বর্তমানে রাইটার্স ওয়ার্কশপের প্রধান। বাংলা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করেন। এছাড়াও, তিনি টাইমস অফ ইন্ডিয়া (কলকাতা) এর জন্য থিয়েটার সমালোচক হিসাবে কাজ করেন। পূর্বে তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের একজন অধ্যাপক ছিলেন। বর্তমানে কলকাতা থিয়েটারের জন্য লিখছেন। তাঁর বক্তব্যের বিষয় ছিল, 'অ্যাপ্লিকেশনস অফ টেগর'স অ্যান্টি কলোনিয়ালিজম ইন ইন্ডিয়া টুডে '। এই বক্তৃতায় অংশ নিয়েছিলেন বিভিন্ন প্রান্তের অধ্যাপক ও গবেষকরা। 

    এ বিষয়ে বক্তৃতা দিতে গিয়ে অধ্যাপক আনন্দ লাল বলেছিলেন, 'ঔপনিবেশিকতা কি কেবল ঐতিহাসিক ? ইউরোপীয় সাম্রাজ্য যেমন শোষণ করত, যা রবীন্দ্রনাথ বিরোধ করতেন ? সে যুগ চলে গেছে, এখন আমরাই ঔপনিবেশিক: সাংস্কৃতিক ভাবে, প্রাকৃতিক ভাবে, অর্থনৈতিক ভাবে। এবং রবীন্দ্রনাথ এসব বিষয় নিয়েও মতামত প্রকাশ করেছেন। কিন্তু আমরা শুনছি ?'

    চলতি বছরের মে মাসে এই বক্তৃতামালায় বক্তব্য রেখেছেন প্রফেসর এমিরেটাস ওয়াল্টার মিগনলো। তাঁর বক্তব্যের বিষয় ছিল, 'হোয়াট ডাস ইট মিন টু ডিকনোলাইজ'। হাইব্রিড মোডে আয়োজিত এই বক্তৃতায় অংশ নিয়েছিলেন পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা ৭৫ জন অধ্যাপক, গবেষকরা। 

    উত্তর-ঔপনিবেশকতাবাদ,সমাজবিজ্ঞানে ইউরোপ কেন্দ্রিকতা বিষয়ে বিখ্যাত চিন্তক ও গবেষক সৈয়দ ফরিদ আহলাতাস ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সিঙ্গাপুরের অধ্যাপক। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার রাজনীতি ও সমাজনীতি, বুদ্ধিচর্চায় ঔপনিবেশিকতার প্রভাব ও সমাজবিজ্ঞানের অন্যধারার তত্ত্ব নিয়ে তাঁর কাজ উল্লেখযোগ্য। চলতি বছরের জুন মাসে তাঁর বক্তব্য রাখার কথা ছিল৷ ২০ জুন তিনি বক্তব্য রাখেন। তাঁর বক্তব্যের বিষয় ছিল, 'ক্রিটিক অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন ইন নলেজ ক্রিয়েশন: টেকিং ডিকলোনাইজেশন সিরিয়াসলি'।
  • Link to this news (আজকাল)