রক্তপাত ছাড়াই বড় সাফল্য ছত্তিশগড়ে, বস্তারে আত্মসমর্পণ ৩০ মাওবাদীর
প্রতিদিন | ২৮ আগস্ট ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রক্তপাত ছাড়াই ছত্তিশগড়ে বড় সাফল্য পেল সরকার। বস্তার অঞ্চলে আত্মসমর্পণ করলেন ৩০ জন মাওবাদী। নকশালপন্থীদের আত্মসমর্পণের কথা নিজেই জানালেন ছত্তিশগড়ের উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় শর্মা। সকলের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে রাজ্য সরকার, নিশ্চিত করেছেন তিনি। এদিন ফের নতুন করে হিংসার পথ ছেড়ে মাওবাদীদের সাধারণ জীবনে ফেরার বার্তা দেন বিজয় শর্মা।
২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদ নির্মূল করা হবে, ঘোষণা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তার বাস্তবায়নে একদিকে যেমন জঙ্গল-পাহাড়ে মাওবাদীদের ঘাঁটিগুলিতে হামলা চালানো হচ্ছে, অন্যদিকে ইচ্ছুক মাওবাদী সদস্যদের আত্মসমর্পণেরও সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় বলেন, “সরকারের পুনর্বাসন নীতি, আধিকারিকদের সাহসিকতা এবং সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের জন্যই মাওবাদীরা আত্মসমর্পণ করেছেন।”
গত কয়েক মাসে ৭০ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছেন। এর মধ্যে জুলাইয়ে বস্তারের পাঁচ জেলা মিলিয়ে ৬৬ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেন। এদের মধ্যে ৪৯ জনের মাথার উপর মোট দাম ছিল ২ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা। গত সপ্তাহে বস্তারেরই নারায়ণপুর জেলায় দুই মহিলা-সহ আট জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেন। তাঁদের মাথার মোট দাম ছিল ৩০ লক্ষ টাকা।
উল্লেখ্য, ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে মাওবাদমুক্ত ভারত গড়ার বার্তা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এরপর থেকেই ছত্তিশগড়, অন্ধ্রপ্রদেশ, ঝড়খণ্ডের মতো মাওবাদী অধ্যুষিত রাজ্যগুলিতে মাওবিরোধী অভিযান ব্যাপক গতি পেয়েছে। গোয়েন্দাদের মতে, বর্তমানে ছত্তিশগড়-তেলেঙ্গানা সীমানাবর্তী কারেগুট্টা পাহাড়ি এলাকা মাওবাদীদের অন্যতম শক্তঘাঁটি। এই এলাকা থেকে মাওবাদের শিকড় উপড়ে ফেলতে প্রায় ৩ হাজার আধাসেনাকে নামানো হয়েছে। দেশের বাকি অংশেও লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। সেই অভিযানের জেরে ব্যাকফুটে যাওয়া মাওবাদীরা এবার নিশানা করতে শুরু করেছে সাধারণ গ্রামবাসীদের।