ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: আগামী বছরেই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। এই আবহে পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর আসন্ন ছবি ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’ (The Bengal Files) নিয়ে তুঙ্গে রাজনৈতিক টানাপোড়েন। ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলাকে বদনাম করতে ছবি তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)।
বৃহস্পতিবার মেয়ো রোডে টিএমসিপি-র প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানমঞ্চ থেকে এই ইস্যুতে আরও একবার সুর চড়ান তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি বলেন, “বাংলার ইতিহাস ভুলে গিয়েছে এরা। মগজে মরুভূমি। বাংলার বদনাম করার জন্য সিনেমা বানাচ্ছে টাকা দিয়ে।” বলে রাখা ভালো, পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর বিরুদ্ধে ইতিহাস বিকৃত করে বাংলাকে অসম্মানের অভিযোগ উঠেছে আগেই। ট্রেলার দেখে বিবেকের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই আইনি পদক্ষেপ করেছেন গোপাল মুখোপাধ্যায়ের নাতি শান্তনু মুখোপাধ্যায়। বাংলায় ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগে এই ছবির মাধ্যমে কোনও দলকে রাজনৈতিক ফায়দা দিতে চাইছেন বিবেক, স্বাভাবিকভাবে উঠছে সে প্রশ্ন।
মমতা এদিন আরও একবার বলিউড ছবি ‘কেশরী চ্যাপ্টার ২’-তে শহিদ বঙ্গসন্তান ক্ষুদিরাম বসুকে নিয়ে ভুল তথ্যের প্রতিবাদ জানান। এই প্রসঙ্গে বিরোধীদের তোপ দেগে তিনি বলেন, “ক্ষুদিরাম বসুকে ছবিতে বলে দিল ‘সিং’। সে যখন ফাঁসির মঞ্চে গান গাইল তখন তোমরা কোথায় ছিলে বাম-রাম-শ্যামেরা? জগাই, মাধাইরা? তোমাদের পূর্বপুরুষরা তো ব্রিটিশের দালালি করেছিল। তারপর মুচলেকা দিতে হয়েছিল।” ক্ষুদিরামের ফাঁসির নথি ইতিমধ্যে পুলিশ মিউজিয়ামে সংরক্ষণের নির্দেশও দিয়েছেন মমতা।
বিরোধীদের উদ্দেশে মমতার আরও তোপ, “একদিকে বিজেপি। আরেকদিকে তার বন্ধু বাম। বাম-রাম-শ্যাম-জগাই-মাধাই সব এক। বামপন্থীগুলো এমন নির্লজ্জ বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। বলছে নেতাজি ব্রিটিশের ভয়ে পালিয়ে গিয়েছেন।” ‘ভাষা সন্ত্রাস’ ইস্যুতেও এদিন আরও একবার সুর চড়ান মমতা। তাঁর হুঁশিয়ারি, “পরিযায়ী শ্রমিকদের ভয় দেখানো হচ্ছে। বাংলা ভাষায় কথা বলা যাবে না। হাবড়াতে একজন মারা গিয়েছেন। ভাষা সন্ত্রাস মানছি না, মানব না। আপনারা ১ হলে, আমরা ১০০। তৃণমূল বিনা যুদ্ধে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়বে না। আমাদের আসন আরও বাড়বে। আপনারা গরিবের অধিকার কেড়ে নেন। আমরা তাদের হৃদয়ে স্থান দিই।”