• কেন্দ্রীয় বঞ্চনা থেকে NRC তোপ, বিজেপিকে ‘হাইলোডেড ভাইরাস’ খোঁচা মমতার
    প্রতিদিন | ২৮ আগস্ট ২০২৫
  • তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে একাধিক ইস্যুতে সুর চড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা থেকে এনআরসি প্রসঙ্গে একহাত নেন তিনি। ‘ভাষা সন্ত্রাস’ নিয়েও আরও একবার গর্জে ওঠেন মমতা। এদিনের সভামঞ্চ থেকে আর কী কী বললেন তৃণমূল সুপ্রিমো, দেখে নিন একনজরে।

    ১. “বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষকদের টাকা বন্ধ করে দিয়েছিল রাজ্যপাল। জানতে পেরে আমরা চালু করে দিই আবার। কেউ কেউ বাইরে থেকে এসে দুষ্টুমি করে। আমরা একটু মিষ্টুমি করি।”

    ২. “কিছু হিংসুটে লোক আছে দেখলেই জ্বলে আর লুচির মতো ফোলে। গ্রামীণ আবাস যোজনা, ১০০ দিনের কাজে আমরা এক নম্বর ছিলাম কয়েকবছর। কিছু হাইলোডেড ভাইরাস ভাবছে টাকা বন্ধ করে ভোটাধিকার কেড়ে নেবে।”

    ৩. “পরিযায়ী শ্রমিকদের ভয় দেখানো হচ্ছে। বাংলা ভাষায় কথা বলা যাবে না। হাবড়াতে একজন মারা গিয়েছেন। ভাষা সন্ত্রাস মানছি না, মানব না।”

    ৪. “আপনারা ১ হলে, আমরা ১০০। তৃণমূল বিনা যুদ্ধে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়বে না। আমাদের আসন আরও বাড়বে। আপনারা গরিবের অধিকার কেড়ে নেন। আমরা তাদের হৃদয়ে স্থান দিই।”

    ৫. “বাংলার ইতিহাস ভুলে গিয়েছে এরা। মগজে মরুভূমি। বাংলার বদনাম করার জন্য সিনেমা বানাচ্ছে টাকা দিয়ে। ক্ষুদিরামকে বলে দিল সিং। সে যখন ফাঁসির মঞ্চে গান গাইল তখন তোমরা কোথায় ছিলে জগাই-মাধাইরা? তোমাদের পূর্বপুরুষরা তো ব্রিটিশের দালালি করেছিল, তারপর মুচলেকা দিতে হয়েছিল।”

    ৬. “একদিকে বিজেপি। আরেকদিকে তার বন্ধু বাম। বাম-রাম-শ্যাম-জগাই-মাধাই সব এক। বামপন্থীগুলো এমন নির্লজ্জ বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। বলছে নেতাজি ব্রিটিশের ভয়ে পালিয়ে গিয়েছেন।”

    ৭. “সারা ভারত থেকে ৫০০ টা দল নিয়ে এসেছে বিজেপি। বাড়ি বাড়ি গিয়ে সার্ভে করছে কার কার নাম বাদ দেওয়া যায়। কেউ সার্ভে করতে এলে, কখনও নিজের তথ্য দেবেন না। আধার কার্ড করে রাখুন, মাস্ট করে দেওয়া হয়েছে। ললিপপ সরকার ভয় দেখাচ্ছে পুলিশকে, বিডিওকে। আমি বলব ইলেকশন কমিশন কিন্তু ভোট এলে, আর আমরা সারাবছরই রাজ্য সরকার থাকব।”

    ৮. “আমাদের লক্ষীর ভাণ্ডার আছে। আপনাদের দুর্নীতির ভাণ্ডার আছে। সেইসব সামনে এনে আপনাদের সবাইকে পুরে দেব।”

    ৯. “আমি আটবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলাম। কখনও রেলমন্ত্রী, কখনও কয়লা, কখনও নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রক সামলেছি। অনেক প্রধানমন্ত্রী দেখেছি। এবার একটা বই লিখব। কে কেমন ছিলেন। যাকে যেমন দেখেছি, তা নিয়ে লিখব। সব তো লেখা যাবে না। বইমেলায় বেরবে বইটা।”

    ১০. “৫৩ লক্ষ ছাত্রছাত্রীকে স্মার্ট কার্ড দিয়েছি। ১২.৫০ লক্ষ এই বছর পাবে। ইনফ্রাস্ট্রাকচারে ৭৫ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় করেছি। কন্যাশ্রী এখন ১ কোটি ছুঁইছুঁই। স্কুলে প্রথম ফেজ, দ্বিতীয় ফেজ কলেজে, তৃতীয় ফেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১.৩৮ কোটি সাইকেল দেওয়া হয়েছে। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড ৯২ হাজার ছাত্রছাত্রী পেয়েছে। এসসি, এসটি-র জন্য আলাদা টাকা দিই। জেনারেলকেও দিই। ৩৫ হাজার কোটি বিনিয়োগে ৭ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীতে আমরাই ১ নম্বর। বেকারত্বের হার কমিয়েছি।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)