• বাড়িতে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা, খণ্ডঘোষের ঘটনায় মায়ের পরে এ বার মৃত্যু বাবারও
    এই সময় | ২৮ আগস্ট ২০২৫
  • রূপক মজুমদার

    প্রায় ২৪ ঘণ্টা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে বর্ধমান হাসপাতালে মারা গেলেন কৃষ্ণপদ মিস্ত্রি (৫০)।

    মঙ্গলবার গভীর রাতে বাড়ির চারধারে পেট্রল ঢেলে বাবা-সহ পরিবারের চারজনকে আগুনে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছিলেন কৃষ্ণপদের প্রথম পক্ষের ছেলে বাবুল মিস্ত্রি। পরিবারের লোকজনকে আগুনে পুড়িয়ে মারতে গিয়ে জখম হন বাবুলও। অভিযুক্ত বাবুল মিস্ত্রির শারীরিক অবস্থার বৃহস্পতিবার আরও অবনতি হয় বলে সূত্রের খবর।

    হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় বুধবারই মৃত্যু হয়েছিল কৃষ্ণপদের স্ত্রী সন্ধ্যা মিস্ত্রির (৪২)। আগুনে পুড়ে কৃষ্ণপদের দ্বিতীয় পক্ষের ছেলে বাদল মিস্ত্রি (১৩) ও মেয়ে সুমিত্রা মিস্ত্রিও (১০) গুরুতর জখম হয়েছিল। সুমিত্রা ও বাদল আপাতত স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। এ দিন সকালেই সন্ধ্যা মিস্ত্রির দেহ ময়নাতদন্তের পরে পরিবারের নিকটাত্মীয়দের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আগামিকাল কৃষ্ণপদের ময়নাতদন্ত হবে বলে সূত্রের খবর।

    বর্ধমান দক্ষিণের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অভিষেক মণ্ডল বলেন, ‘বাবুল মিস্ত্রি সুস্থ না হলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যাচ্ছে না। ফলে এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তাও জানা যাচ্ছে না। বাবুল পুলিশের কাছে নিজের দোষ কবুল করেছেন। ফরেন্সিক টিম ওই বাড়ি থেকে নুমনা সংগ্রহ করবে। বাড়িটি ঘিরে রাখা রয়েছে যাতে কোন তথ্য প্রমাণ নষ্ট না হয়। চিকিৎসকেরা বাবুলকে সুস্থ ঘোষণা করলে তাঁকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করানো হবে।’

    মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের উদয়কৃষ্ণপুরের পশ্চিমপাড়ায় ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ সূত্রের খবর, বাদল, সুমিত্রা তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের সন্তান। ৩০ বছরের বাবুল কৃষ্ণপদের বাড়ির পাশেই থাকেন। অভিযোগ, কৃষ্ণপদ দেড় কাঠা জায়গা বাবুলের নামে লিখে না দেওয়ায় তিনি এই ঘটনা ঘটিয়েছে। জমি নিয়ে বিবাদের জেরে বাবুল যে এতবড় ঘটনা ঘটাবেন তা গ্রামবাসীরা এখনও মানতে পারছেন না।

  • Link to this news (এই সময়)