স্টাফ রিপোর্টার: ইন্ডিয়া জোটে তৃণমূল আর কংগ্রেস কাছাকাছি, রাহুল গান্ধীর সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশেষ বৈঠক। দিল্লির এই হাওয়া বুঝেই সম্ভবত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বারবার উল্লেখিত হল ছাত্র পরিষদের মঞ্চে। বৃহস্পতিবার যা দেখেশুনে রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, তবে কি ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে এবার কংগ্রেস আর তৃণমূলের নতুন সমীকরণ? যদিও এই মঞ্চ থেকেই প্রদেশ সভাপতি শুভঙ্কর ফের ২৯৪ আসনে লড়াইয়ের কথা বলে দাবি করেছেন বাংলায় শিল্প ফেরাতে। পাশাপাশি ছাত্র-যুবর উজ্জ্বল ভবিষ্যতের লক্ষ্যে কর্মসংস্থান বাড়িয়ে বাংলাকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যেও কংগ্রেস সব আসনে প্রার্থী দিয়ে একাই লড়বে বলে জানান তিনি।
সিপিএম আমলে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রসঙ্গ তুলে সিপিএমকে দুষে শুভঙ্কর সরকার এদিন মনে করিয়ে দেন সেই আন্দোলনের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন কংগ্রেসের যুবনেত্রী, তিনি নিজে তখন ছাত্র পরিষদের সভাপতি। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন যুব কংগ্রেস করতেন, আমি তখন ছাত্র পরিষদ করতাম। একসঙ্গে লড়াই করতাম। বাম সরকারের শিক্ষার অব্যবস্থার বিরুদ্ধে, প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিরুদ্ধে ১৯ দিন ধরনা মঞ্চে অবস্থান করেছি। আপনি বলেছিলেন ধরনা তুলে নিতে। কিন্তু আমি বলেছিলাম এই লড়াই ছাত্র পরিষদের লড়াই। নীতিগত লড়াই, কোনও তাৎক্ষণিক লড়াই নয়।”
কংগ্রেসের সহযোগিতায় তৃণমূলের জোট সরকারের সময়ের কথা মনে করিয়ে কংগ্রেসের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন, তাতে কংগ্রেস এক নয়া পয়সা হলেও অংশীদার ছিল। তাই আপনার ৯৯ পয়সা ১ টাকায় পরিণত হয়েছিল।” এরপরই ২৯৪ আসনে দলীয় প্রার্থীর দাবি নিয়ে বলতে গিয়ে শুভঙ্কর বলেন, তাঁরা জোট সরকারে থাকলে রাজ্যের এই ‘সর্বনাশ’ হত না। ছাত্র পরিষদকে নকল করেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ‘দোকান খুলেছে’ বলে কটাক্ষও করেছেন শুভঙ্কর। দলের একাংশের বক্তব্য, এদিন কিছুটা কটাক্ষের সুর থাকলেও বরাবর প্রদেশ সভাপতির বক্তব্যে উঠে এসেছে তৃণমূলনেত্রীরই প্রসঙ্গ।
প্রসঙ্গত, ছাত্র পরিষদের নিজস্ব ওয়েবসাইটও এদিন চালু করা হয়। ছিলেন সংগঠনের জাতীয় নেতৃত্ব এনএসইউআইয়ের সভাপতি বরুণ চৌধুরী, প্রাক্তন সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য-সহ রাজ্য নেতৃত্ব। ছিল যুব-ছাত্র নেতৃত্বও। শুভঙ্করের বক্তৃতা শুরু হওয়ার মুখেই এদিন যুব সংগঠনের একটি দল আচমকাই ‘অধীর চৌধুরী জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিয়ে ওঠে। এদিকে মহাজাতি সদনে এই সভা যখন হচ্ছে, অধীর তখন বহরমপুরে আলাদা কর্মসূচি করলেন জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে।