রাজ্যের উদ্যোগে এবার উত্তরবঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে ডিগ্রি কোর্সে পড়ার সুযোগ
বর্তমান | ২৯ আগস্ট ২০২৫
ব্রতীন দাস, জলপাইগুড়ি: রাজ্যের উদ্যোগে এখন উত্তরবঙ্গে বসেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই নিয়ে বি টেক করার সুযোগ। আলিপুরদুয়ার গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট কলেজে চলছে এআই’র উপর ওই ডিগ্রি কোর্স। কম্পিউটার সায়েন্সের সঙ্গে সাইবার সিকিউরিটি কিংবা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিষয়টি কিছুটা পড়ানো হলেও শুধুমাত্র এআই নিয়ে বি টেক, গোটা রাজ্যে সরকারি ন’টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের মধ্যে একমাত্র আলিপুরদুয়ারেই পড়ানো হচ্ছে বলে দাবি কলেজ কর্তৃপক্ষের।
বিশ্বজুড়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ বাড়ছে। সংবাদমাধ্যম থেকে সিনেমা, ব্যবসা থেকে চিকিৎসা-এআই এখন কার্যত সব ক্ষেত্রেই ব্যবহার হচ্ছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের অধুনা বিপ্লবে যাতে বাংলার ছেলেমেয়েরা বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের ছাত্রছাত্রীরা সমানভাবে পাল্লা দিতে পারেন, সেই লক্ষ্যেই আলিপুরদুয়ার গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে চালু হয়েছে ওই ডিগ্রি কোর্স। এআই’র সঙ্গেই পড়ানো হচ্ছে সাইবার সিকিউরিটি, ডেটা মাইনিং, ডেটা ওয়্যারহাউজিং, আইওটি বা ইন্টারনেট অব থিংস, মেশিন লার্নিং ও ডিপ লার্নিং। শেখানো হচ্ছে অপটিমাইজেশন প্রযুক্তি। এআই নিয়ে বি টেক করার পর যাঁরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর এম টেক করতে চাইবেন, তাঁরা কোথায় পড়বেন? তা নিয়েও চিন্তাভাবনা শুরু করেছে রাজ্য। সেক্ষেত্রে কোন সরকারি কলেজে এম টেক পড়ানোর মতো পরিকাঠামো রয়েছে, তা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়েছে।
এআই’র উপর এম টেক চালু করতে ইতিমধ্যে আগ্রহ প্রকাশ করেছে জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। তাদের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে এনিয়ে একপ্রস্থ আলোচনাও হয়েছে। শীঘ্রই বিষয়টি রাজ্যকে প্রস্তাব আকারে জমা দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে কলেজ সূত্রে খবর। এম টেক চালুর ক্ষেত্রে রাজ্যের ‘নো অবজেকশন’ জরুরি। এরপর প্রয়োজন অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশনের ছাড়পত্র। সবশেষে জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ যার অধীনে, অর্থাৎ মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি’র সম্মতি। গোটা প্রক্রিয়া সেরে দ্রুত এম টেকের ছাড়পত্র আদায়ে শুরু হয়েছে তোড়জোড়।
আলিপুরদুয়ার গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সৌরীশ সান্যাল বলেন, রাজ্যে আমরাই প্রথম সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, যেখানে এআই নিয়ে বি টেক ডিগ্রি কোর্স চালু হয়েছে। ওই বিভাগে এখানে ৩০টি আসন রয়েছে। বিশ্বে এখন এআই-বিপ্লব হচ্ছে। ফলে এমন একটি বিষয় নিয়ে উত্তরবঙ্গে বসে পড়াশোনা করা যাচ্ছে, এটা সত্যিই বড় ব্যাপার।
জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কম্পিউটার সায়েন্সের বিভাগীয় প্রধান সুভাষ বর্মন বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর এম টেক চালু হওয়া দরকার। তার সঙ্গে মেশিন লার্নিংও থাকতে পারে। আমরা এনিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছি। এম টেক চালুর জন্য পর্যাপ্ত পরিকাঠামো ও ফ্যাকাল্টি রয়েছে।