৪ সেপ্টেম্বর থেকে বড়দেবীর প্রতিমা গড়ার কাজ শুরু, এবার বাজেট বৃদ্ধি
বর্তমান | ২৯ আগস্ট ২০২৫
সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায়, কোচবিহার: কোচবিহারে দুর্গাপুজোর ঢাকে কাঠি মানেই বড়দেবীর পুজোর প্রস্ততি। যা পুজোর অনেক আগে থেকেই শুরু হয়ে যায়। উত্তরবঙ্গের মধ্যে বড়দেবীর পুজোর নিয়ম ও প্রাচীনত্বে একেবারেই আলাদা। মহারাজাদের চালু করা এই পুজোয় এবারের বাজেট ৪ লক্ষ ৮৫ হাজার ৬৯ টাকা। যা গতবারের তুলনায় ১২ হাজার টাকা বেশি।
বড়দেবীর প্রতিমা গড়ার জন্য ময়নাকাঠ সংগ্রহ, সেই কাঠের প্রতিমায় পুজো, দেবীবাড়িতে গৃহারম্ভ সহ রাজআমলের এই পুজোর একাধিক রীতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী রবিবার সূর্যোদয়ের আগে বড়দেবীর প্রতিমা তৈরির জন্য মদনমোহন মন্দির থেকে ময়নাকাঠ পাল্কিতে চাপিয়ে বড়দেবীর মন্দিরে আনা হবে। ওই দিনই হবে ধর্মপাঠ পুজো। এরপর তিনদিন ময়নাকাঠকে হাওয়া খাওয়ানো হবে। ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ময়নাকাঠের উপরেই শুরু হবে বড়দেবীর প্রতিমা গড়ার কাজ। যুগ যুগ ধরে এই প্রথা মেনেই বড়দেবীর প্রতিমা নির্মাণ হয়ে আসছে। এবারও বিশাল একটি ট্রলির উপরে প্রতিমা গড়া হবে। যাতে পুজো শেষে সেখান থেকে বিসর্জন ঘাট পর্যন্ত সহজেই নিয়ে যাওয়া যায়।
কোচবিহারের মহকুমা শাসক কুণাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বড়দেবীর পুজোর জন্য এবার বাজেট বেড়ে হয়েছে ৪ লক্ষ ৮৫ হাজার ৬৯ টাকা। রবিবার ভোররাতে ময়নাকাঠ পাল্কিতে চেপে বড়দেবীর মন্দিরে পৌঁছবে। সেখানে প্রতিমা বানিয়ে হবে পুজো।
কোচবিহার রাজ পরিবারের শুরু করা বড়দেবীর পুজোর প্রতিমা নির্মাণের জন্য প্রথমে একটি ময়নাকাঠ সংগ্রহ করা হয়। প্রাচীন রীতি মেনে সেই ময়নাকাঠকে প্রথমে ডাঙ্গরআই মন্দির ও সেখান থেকে মদনমোহন মন্দিরে নিয়ে এসে চলে পুজো। সেই কাঠই ৩১ তারিখ, রবিবার সূর্যোদয়ের আগে দেবীবাড়িতে অবস্থিত বড়দেবীর মন্দিরে পাঠানো হবে। বড়দেবীর প্রতিমা গড়ার জন্য এই ময়নাকাঠকেই স্থাপন করা হবে কাঠামোর মূল কাঠ হিসেবে। তার উপর বিরাট আকারে বড়দেবীর প্রতিমা বানানো হবে। তুফানগঞ্জের চামটা থেকে বড়দেবীর মুখের জন্য বিশেষ মাটি নিয়ে আসা হয়। দ্বিতীয়াতে প্রতিমা বানানোর কাজ শেষ করে বড়দেবীর দেওদেখা বা প্রতিমার মুখদর্শন। এভাবেই রাজআমল থেকে চলে আসছে বড়দেবীর পুজো। বড়দেবীর মন্দির। - নিজস্ব চিত্র।