নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: মার্কিন ডলার ও থাইল্যান্ডের মুদ্রা পাচারের আগেই ধরা পড়ে গেল খিদিরপুর এলাকার তিন বাসিন্দা। ওই মুদ্রা নিয়ে ব্যাংককে উড়ে যাওয়ার ফন্দি ছিল তাদের। বুধবার শুল্ক দপ্তরের গোয়েন্দারা জানতে পারেন, নির্দিষ্ট নম্বরের ট্যাক্সিতে করে অভিযুক্তরা বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছে। ট্যাক্সিটি কৈখালির কাছে আসতেই ঘিরে ফেলেন গোয়েন্দারা। তাঁরা তল্লাশি চালিয়ে ওই ট্যাক্সি থেকে দেড়শো মার্কিন ডলার এবং ১৮১০টি থাইল্যান্ডের মুদ্রা বাজেয়াপ্ত করেন। এই মুদ্রাগুলি দু’টি ট্রলি ব্যাগে করে নিয়ে আসা হয়েছিল। ট্যাক্সিতে থাকা তিনজন যাত্রীর কেউই ওই ডলার ও বিদেশি মুদ্রার বৈধ কাগজ দেখাতে পারেনি। জেরায় অসংলগ্ন কথাবার্তা বলায় শেষমেশ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের নাম ফৈয়াজ আলম, রুস্তম আলম ও ওয়াজিদ আনসারি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ধৃতদের ব্যাঙ্কশাল কোর্টের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। শুল্ক দপ্তরের আইনজীবী সুস্মিতা চক্রবর্তী ধৃতদের জেলে গিয়ে জেরা করার আর্জি জানান। বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করেন। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহে প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে ধৃত তিনজনকে জেরা করবেন শুল্ক দপ্তরের তদন্তকারী অফিসাররা। বাজেয়াপ্ত হওয়া মার্কিন ডলার ও থাইল্যান্ডের মুদ্রার সিজার লিস্ট এদিন আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতদের আইনজীবীরা যে কোনও শর্তে অভিযুক্তদের জামিনের আর্জি জানান। বলেন, তাঁদের মক্কেলরা তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করবেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কৌঁসুলি জামিনের বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, তদন্তকারীরা পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন। এর পিছনে বেআইনিভাবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা কেনাবেচার চক্র জড়িত কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এর আগে অভিযুক্তরা এই ধরনের কাজে জড়িত ছিল কি না, তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তাই তদন্ত চলাকালীন ধৃতদের জামিন দেওয়া ঠিক হবে না। এতে তদন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বিচারক কেস‑ডায়েরি ও মামলার অন্যান্য নথি খতিয়ে দেখে ধৃতদের জামিনের আর্জি খারিজ করে দেন।