• সুভাষগ্রাম পাওয়ার গ্রিড: নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য আরও এক শক্তিশালী ট্রান্সফরমার
    বর্তমান | ২৯ আগস্ট ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: দিনদিন বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা। তাই নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য আরও একটি ৫০০ মেগা ভোল্ট অ্যামপিয়ার (এমভিএ) ট্রান্সফরমার বসতে চলেছে সুভাষগ্রাম পাওয়ার গ্রিডে। এতে উপকৃত হবে কলকাতা ও দুই ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ। গত বছর এমনই ক্ষমতাসম্পন্ন অতি শক্তিশালী ট্রান্সফরমার বসানো হয়েছিল। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্তাদের কথায়, প্রতি বছর জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সমান তালে বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা। বিশেষ করে গরমকালে চাহিদা একলাফে অনেকটা বেড়ে যাওয়ায় চাপ পড়ছে ট্রান্সফরমারগুলির উপর। তাই বাড়তি লোড যাতে নিতে পারে, সেকারণে আরও একটি ট্রান্সফরমার বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

    জানা গিয়েছে, গতবার নদীপথে বজবজে নিয়ে আসার পর যে পথ দিয়ে ২৬০ টন ওজনের ট্রান্সফরমারটি সুভাষগ্রামে নিয়ে আসা হয়েছিল, একইভাবে নতুনটিকেও নিয়ে আসা হচ্ছে। বজবজ থেকে সড়কপথে আমতলা হয়ে বারুইপুর ঘুরে সুভাষগ্রামে নিয়ে আসা হবে এই বিশাল যন্ত্রকে। একারণে বিদ্যুৎ বিভাগ, পাওয়ার গ্রিড কর্তৃপক্ষ এবং জেলা প্রশাসন আলাদাভাবে বৈঠকও করেছে। 

    এদিকে, পুজালির কাছে একটি সেতু দুর্বল থাকায় অত বড় ও ভারী যন্ত্রকে ওই পথ দিয়ে নিয়ে আসা মুশকিল। সেকারণে বজবজ ১ নম্বর ব্লকের গোবরঝুড়ি খালের উপর একটি অস্থায়ী সেতু ও রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। তবে নতুন রাস্তা তৈরি করতে গিয়ে খালের একটি অংশ বন্ধ করায় চাষের জমির একাংশ থেকে জমা জল বেরতে পারছে না। ফলে ক্ষতির মুখে পড়েছেন বেশ কয়েকজন চাষি। এ নিয়ে বজবজ ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় (বুচান) ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছেন।

    এই বিশালাকার ট্রান্সফরমারটি ১২৮ চাকার বিশেষ হাইড্রলিক ট্রাকে করে নিয়ে আসা হচ্ছে। দিনে নয়, শুধু রাতেই এই গাড়ি ধীর গতিতে চালানো হচ্ছে। ফলে কয়েক কিলোমিটারের বেশি যেতে পারছে না একদিনে। প্রশাসনের ধারণা, আগামী ১০ দিনের মধ্যে এই ট্রান্সফরমার সুভাষগ্রামে পৌঁছবে।

    এটি ইন্সটল হয়ে গেলে বিদ্যুতের চাহিদা যেমন মেটানো যাবে, তেমনই বাড়তি লোড সামলানো যাবে। সুভাষগ্রাম পাওয়ার গ্রিডে এখন চারটি ৩১৫ এমভিএ এবং একটি ৫০০ এমভিএ ট্রান্সফরমার রয়েছে। আরও একটি যুক্ত হলে বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে অনেকটাই সুবিধা হবে। সূত্রের খবর, বর্তমানে বিদ্যুতের চাহিদা দু’হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে গিয়েছে। ফলে কোনওভাবে একটি ট্রান্সফরমার যদি বসে যায়, তাহলে বিস্তীর্ণ এলাকা অন্ধকারে ডুবে যাবে। তাই সবদিক ভেবেই এই বিশাল ট্রান্সফরমারটি আনা হচ্ছে।
  • Link to this news (বর্তমান)