• বুথের অবস্থা কী, সংস্কারে কত খরচ, ভোটের আগে সমীক্ষা করবে ম্যাকিনটশ বার্ন
    এই সময় | ২৯ আগস্ট ২০২৫
  • এই সময়: বাংলার বিধানসভা ভোট আর সাত–আট মাস পরে। তার আগে খরচ নিয়ন্ত্রণে রাখতে নির্বাচন কমিশন প্রতিটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের পরিকাঠামো সংস্কারের ব্যাপারে এখনই সমীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কমিশন সূত্রের খবর, এই কাজের জন্য রাজ্য সরকারের সংস্থা ‘ম্যাকিনটশ বার্ন’–কে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। এই ব্যাপারে রাজ্য অর্থ দপ্তরের অনুমোদনও পাওয়া গিয়েছে। রাস্তা ও সেতুর পাশাপাশি বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণে ম্যাকিনটশ বার্নকে দক্ষ সংস্থা হিসেবে গণ্য করা হয়।

    নির্বাচন কমিশনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ম্যাকিনটশ বার্ন রাজ্যের প্রতিটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের এখনকার অবস্থা সরেজমিনে খতিয়ে দেখে কী ধরনের সংস্কার প্রয়োজন, তার খরচই বা কত পড়বে, সে ব্যাপারে সবিস্তার রিপোর্ট দেবে। ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে অর্থ বরাদ্দ করে ম্যাকিনটশ বার্ন–কে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সংস্কারের দায়িত্ব দেওয়া হবে।

    কমিশন সূত্রের খবর, রাজ্যে এই মুহূর্তে বুথের সংখ্যা ৮০ হাজার ৬৮১। কোনও বুথে ১২০০-র বেশি ভোটার রাখা যাবে না বলে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে। ফলে, বুথের সংখ্যা বাড়তে চলেছে প্রায় ১৪ হাজার। জেলা নির্বাচন আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই ওই সব নতুন বুথ চিহ্নিত করেছেন। আজ, শুক্রবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সর্বদলীয় বৈঠক করে নতুন বুথগুলোর ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে সেটা নির্বাচন কমিশনের অনুমোদনের জন্য পেশ করবেন।

    ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলো তৈরি হয় সরকারি স্কুল, লাইব্রেরি কিংবা কমিউনিটি সেন্টারে। তবে কমিশনের বক্তব্য, বহু ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের পরিকাঠামো খুবই দুর্বল। সেগুলোর জানলা, দরজা ভেঙে পড়েছে। শৌচালয় অপরিষ্কার, পানীয় জলের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। বিদ্যুৎ সংযোগেও বহু বুথে নানা রকম ত্রুটি রয়েছে। প্রবীণ ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ভোটারদের জন্য উপযুক্ত র‍্যাম্প নেই। বুথ তৈরির জায়গা নিয়েও সমস্যা রয়েছে। যদিও প্রতি বারই ভোটের আগে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলোয় রুটিন সংস্কার হয়। তবে রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে এই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলোর মধ্যে কোনগুলোর সংস্কার এর আগের ভোটে হয়েছিল, তাতে খরচ কত হয়েছিল, সে সব নিয়ে কোনও তথ্য নেই।

    রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল বলছেন, ‘ভোটের সময়ে এক শ্রেণির সরকারি আধিকারিক বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকেন। সেই সময়ে বুথ সংস্কারের দায়িত্ব দিলে তাঁদের উপর চাপ বাড়ে। যে কারণে সংস্কারের কাজ ও খরচের মধ্যে মিল থাকে না অনেক সময়েই। তাই, অনেক আগে থেকে সমীক্ষা করে বুথ সংস্কারের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে খরচ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।’ তিনি জানান, কোন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের কী সংস্কার করা হলো, তা নিয়ে কমিশন তথ্যভাণ্ডারও তৈরি করবে। যাতে এর পরের ভোটের সময়ে সুবিধে হয়, তার জন্য।

  • Link to this news (এই সময়)