• ব্লক সভাপতি কে, চিন্তা শাসক দলে
    আনন্দবাজার | ২৯ আগস্ট ২০২৫
  • বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন। তা মাথায় রেখে নতুন করে ব্লক সভাপতিদের নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল। কোচবিহারে অনেক ক্ষেত্রে পুরনো মুখেই ভরসা রেখেছে রাজ্যের শাসক দল। তবে কোচবিহার ২ নম্বর ব্লকে সভাপতির নাম ঘোষণা হয়নি। তাতে চিন্তিত সংশ্লিষ্ট ব্লকের কর্মী-সমর্থকেরা।

    তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্লকের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন সজল সরকার। তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিকের বনিবনা নেই। অভিযোগ, গত কয়েক মাস ধরে দলের কাজে ওই ব্লকে সজলকে সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যায়নি। সেখানে ব্লকের অন্য নেতৃত্বদের সামনে রেখেই কর্মসূচি করছেন অভিজিৎ। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বারে কী করে ওই ব্লকের সংগঠন চলবে তা নিয়ে চিন্তা বেড়েছে রাজ্যের শাসক দলের। অভিজিতের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। দলের কোচবিহার জেলার চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ বলেন, ‘‘দলের কর্মসূচি কোথাও থেমে থাকবে না। কোচবিহার ২ নম্বর ব্লকে গত কয়েক মাসে সংগঠন আরও মজবুত হয়েছে। দল যেমন নির্দেশ দেবে, সে ভাবেই কাজ হবে।’’ সজল বলেন, ‘‘রাজ্য নেতৃত্ব যা নির্দেশ দেবেন, তা মেনে চলব।’’

    কোচবিহার ২ নম্বর ব্লক নিয়ে কোচবিহার উত্তর বিধানসভা। কোচবিহার জেলার একমাত্র বিধানসভা যেখানে এখনও পর্যন্ত তৃণমূল জয়ী হতে পারেনি। আগে ওই বিধানসভা ছিল বাম তথা ফরোয়ার্ড ব্লকের হাতে। এখন ওই বিধানসভা কেন্দ্রে বিধায়ক বিজেপির সুকুমার রায়। এ বারে ওই বিধানসভা জিততে মরিয়া তৃণমূল। জেলা সভাপতি নিজে ওই বিধানসভায় ঘন ঘন কর্মসূচি নিচ্ছেন। এমন অবস্থায় ব্লক সভাপতি নিয়ে টানাপোড়েন চলতে থাকায় তা দলের ক্ষতি করবে বলে মনে করছে তৃণমূলের একাংশ। দলের ওই অংশ মনে করছে, বিধানসভা নির্বাচনের খুব দেরি নেই। এই সময় থেকেই সভাপতি ঘোষণা করে ঝাঁপিয়ে পড়া উচিত নেতৃত্বের। সভাপতির নাম ঘোষণায় দেরি হলে সাংগঠনিক কাজকর্ম ব্যাহত হবে। তাতে আখেরে লাভ হবে বিজেপির। বিজেপির কোচবিহার জেলার সহ-সভাপতি বিরাজ বসু বলেন, ‘‘তৃণমূল যে ভাবেই সংগঠন তৈরি করুক না কেন, তাতে লাভ হবে না।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)