• নথির গরমিল, বিহারের আরও ৩ লক্ষ ভোটারকে নোটিস কমিশনের, অনেক বাড়তে পারে বাদ পড়ার সংখ্যা?
    প্রতিদিন | ২৯ আগস্ট ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহারের এসআইআর বিতর্কে নয়া সংযোজন। যাঁদের নাম খসড়া ভোটার তালিকাতে রয়েছে তাঁরাও ‘নিরাপদ’ নন। নথির গরমিল থাকায় খসড়া ভোটার তালিকায় নাম উঠেছে এমন ৩ লক্ষ ভোটারকে নোটিস পাঠাতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী সাতদিনের মধ্যে তাঁদের বৈধ নথি-সহ ইআরও-দের কাছে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। এমনটাই দাবি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের।

    কমিশন সূত্রের খবর, এসআইআর প্রক্রিয়ার পর বিহারের ৯৮.২ শতাংশ ভোটারই ফর্ম পূরণ করে জমা দিয়েছেন। বাকি ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম তালিকা থেকে কাটা গিয়েছে। কিন্তু যে ৭ কোটি ২৪ লক্ষ ভোটার ফর্ম জমা করেছেন তাঁদেরও সকলের নথি সঠিক নয়। যাচাই করার সময় দেখা যাচ্ছে বহু নথিতে গরমিল রয়েছে। বা কেউ কেউ কোনও বৈধ নথিই জমা করেননি। এই ধরনের ভোটারদের নোটিস পাঠানো হচ্ছে। আপাতত সংখ্যাটা ৩ লক্ষ। যা আরও বাড়তে পারে। ইআরও-রা নথি যাচাই প্রক্রিয়া শেষ করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত সংখ্যা অনেকটাই বাড়তে পারে।

    এই ভোটারদের আগামী ৭ দিনের মধ্যে বৈধ নথি-সহ হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাজিরা না দিলে বা সন্তোষজনক নথি জমা দিতে না পারলে এই ভোটারদের নামও তালিকা থেকে কেটে দেওয়া হবে। আগামী বিধানসভা ভোটে এঁরা ভোট দিতে পারবেন না। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এ পর্যন্ত যারা নোটিস পেয়েছেন, তাঁদের অধিকাংশই সীমাঞ্চলের বা সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দা। কিষানগঞ্জ, পূর্ণিয়া, আরারিয়া, মধুবনী, পশ্চিম চম্পারণ। এই এলাকাগুলির অধিকাংশ বাসিন্দাই সংখ্যালঘু।

    SIR-এর পর বিহারের খসড়া ভোটার তালিকায় ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ গিয়েছে। কমিশনের হিসেব, এর মধ্যে ২২ লক্ষ মৃত। ৩৬ লক্ষ স্থানাস্তরিত অথবা ঠিকানায় পাওয়া যায়নি। ৭ লক্ষের নাম একাধিক জায়গায় ছিল। তবে বিরোধীদের যুক্তি, অনেক বৈধ ভোটারই রয়েছেন যাঁদের কাছে হয়তো কমিশনের চাওয়া নথি নেই। এর মধ্যে প্রায় দু’লক্ষ বাদ পড়া বিহারবাসী নিজেদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। এবার কমিশন পালটা আরও ৩ লক্ষকে নোটিস পাঠাচ্ছে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)