• দশ দিন ধরে জমে জল, চলছে স্কুলও
    এই সময় | ২৯ আগস্ট ২০২৫
  • পেরিয়ে গিয়েছে দশ দিন, কিন্তু ক্লাসঘরে জল জমেই রয়েছে। তা নামার নাম নেই! তার মধ্যেই চলছে শিশুশিক্ষা কেন্দ্র! কখনও জমা জলে দেখা যাচ্ছে বিষধর সাপ। কোনও অভিভাবক আবার কোলে করে খুদে পড়ুয়াকে পৌঁছে দিচ্ছেন স্কুলে অথবা বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। অনেকে আবার জল ভেঙে বিপদের ঝুঁকি নিয়েই নিয়মিত যাতায়াত করছেন। গত কয়েক বছর বর্ষার সময়ে এটাই খুব পরিচিত ছবি হয়ে গিয়েছে পূর্বস্থলীর তেলেনিওপাড়া শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে।

    জল নিকাশি ব্যবস্থা এতটাই বেহাল হয়ে পড়েছে যে, একবার জল জমে গেলে তা দীর্ঘদিন দাঁড়িয়েই থাকে স্কুলে। গত দশ দিন ধরে জমা জলের মধ্যেই চলছে লেখাপড়া। প্রবল সমস্যায় যেমন স্কুল পড়ুয়ারা, তেমনই তাদের অভিভাবকরা। শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষিকা মিঠু দেবনাথ হতাশ মুখে বলছিলেন, 'বর্ষার শুরুতে ১৫ দিন জল দাঁড়িয়েছিল। এখন ১০ দিন ধরে দাঁড়িয়েই রয়েছে জল। খুব সমস্যার মধ্যে পড়েছি আমরা।' যোগ করলেন, 'সবচেয়ে বেশি খারাপ লাগে বাচ্চাগুলোর জন্য। খুব কষ্ট করেই ওদের ঘরে আটকে রাখতে হচ্ছে। কেউ ঘরের বাইরে যেতে চাইলে আমাকেও সঙ্গে যেতে হচ্ছে।'

    পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, অনেক অভিভাবক এখন বাধ্য হয়ে ছেলেমেয়েদের শিক্ষাকেন্দ্রে পাঠাচ্ছেন না। তবে এখন পরীক্ষা চলছে বলে জল ভেঙেই ছেলেমেয়েদের পৌঁছে দিচ্ছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি মিলবে কবে এবং কী ভাবে? স্কুলের শিক্ষিকারা জানাচ্ছেন, স্কুলের এই সঙ্কটের কথা জানিয়ে বিভিন্ন স্তরে অনুরোধ করা হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমেও বিষয়টি তুলে ধরেছেন, কিন্তু সমস্যর সমাধান এখনও পর্যন্ত হয়নি। তবে হবে, তা-ও অজানা।

    স্কুলের মিড-ডে মিলের রাঁধুনি রেখা দেবনাথ বললেন, 'ঠিক মতো রান্নাও করতে পারছি না। খুব কষ্ট করেই বাচ্চাদের জন্য খাবার তৈরি করতে হচ্ছে।' এক অভিভাবক মিঠু মণ্ডলের মন্তব্য, 'কখনও কোলে করে, কখনও আবার কোনওরকমে ওই জমা জল পেরিয়ে ছেলেমেয়েদের স্কুলে দিয়ে আসছি। অবিলম্বে জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা হোক। না-হলে বাচ্চাদের পক্ষে লেখাপড়া করাই কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।'

  • Link to this news (এই সময়)