• 'তুমি কালো, আমরা অন্য বউমা আনব', শ্বশুরবাড়ির লাগাতার অত্যাচারেই কোলের সন্তানকে ফেলে চরম পদক্ষেপ তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী যুবতীর!...
    আজকাল | ২৯ আগস্ট ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: এক, দুই, তিন। সংখ্যা বাড়ছে ক্রমশ। বাড়ছে উদ্বেগ, বাড়ছে আলোচনা। সাম্প্রতিক সময়ে, শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার, পণ প্রথার চাপে একাধিক যুবতীর আত্মহত্যার অভিযোগ সামনে এসেছে। পরিবারের অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকজন ক্রমাগত চাপ দিতেন তাঁদের উপরে। সাম্প্রতিক সময়ে উঠে এসেছে একই ঘটনা। তার শেষ সংযোজন, বেঙ্গালুরুর যুবতী। সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর তেমনটাই। সামনে এসেছে তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর মৃত্যুর ঘটনা। সূত্রের খবর, ওই যুবতীর পরিবারের অভিযোগ, পণ প্রথা-সহ একাধিক বিষয়ে ওই যুবতীর শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা ক্রমাগত অপমান, অত্যাচার করতেন তাঁর উপরে। সেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন তিনি।

    মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ বেঙ্গালুরুর সুদ্দাগুন্তেপাল্যায়ে ২৭ বছর বয়সী ওই তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীকে তাঁর বাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাঁর বাবা-মা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন, যৌতুকের জন্য তাঁকে ক্রমাগত নির্যাতন করা হয়েছে বিয়ের পর থেকেই। ওই যুবতীর নাম শিল্পা। প্রায় আড়াই বছর আগে প্রাক্তন সফটওয়্যার কর্মী প্রবীণের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁদের ছ' মাসের একটি সন্তানও রয়েছে।  

    শিল্পা বিয়ের আগে ইনফোসিসে তাঁর স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেছিলেন এবং সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করেছিলেন। প্রবীণও একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন এবং ওরাকলে কাজ করতেন। তবে বিয়ের বছরখানেক পর তিনি চাকরি ছেড়ে দিয়ে, নিজের ব্যবসা শুরু করেন। শিল্পার বাবা-মায়ের অভিযোগ, বিয়ের সময় প্রবীণের পরিবার প্রথমে নগদ ১৫ লক্ষ টাকা, ১৫০ গ্রাম সোনার গয়না এবং গৃহস্থালীর নানা জিনিসপত্র দাবি করেছিল। এই দাবিগুলি পূরণ করা সত্ত্বেও, বিয়ের পরে শিল্পার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা অতিরিক্ত টাকা এবং মূল্যবান জিনিসপত্রের জন্য তাঁকে চাপ দিত। পরিবারের দাবি, যৌতুকের জন্য বারবার কটূক্তি এবং মানসিক নির্যাতনের কারণে শিল্পা আত্মহত্যা করেছে।

    শিল্পার পরিবারের অভিযোগ, তাঁর গায়ের রঙ নিয়ে তাঁকে বারবার কটূক্তি করা হয়েছে। পুলিশের কাছে শিল্পার মা জানান, শিল্পার শাশুড়ি প্রায়ই তাঁকে বলতেন, 'তুমি কালো এবং আমার ছেলের জন্য উপযুক্ত নও। ওকে ছেড়ে দাও, আমরা ওর জন্য ভালো পাত্রী খুঁজে বের করব।' পরিবারের অভিযোগ, প্রবীণ চাকরি ছেড়ে ব্যবসা শুরু করার সময়, শিল্পার পরিবারের কাছে পাঁচ লক্ষ টাকা দাবি করেছিল এবং সেই টাকা শিল্পার পরিবার দিয়েছিল। কিন্তু টাকা দেওয়ার পরে ফের শুরু হয় হয়রানি। 

    সুদ্দাগুন্তেপাল্যা পুলিশ যৌতুক নির্যাতন এবং অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে এবং প্রবীণকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ময়নাতদন্তের পর শিল্পার মৃতদেহ তাঁর বাবা-মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়। 

    দিনকয়েক আগেই গ্রেটার নয়ডা পণ কাণ্ডে অভিযুক্ত বিপিনের বিরুদ্ধে আরও বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে আসে। শুধুমাত্র স্ত্রীর উপরেই নয়, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে প্রেমিকাকেও শারীরিক নির্যাতন করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে! জানা গেছে, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের বিষয়টি নিকি জেনে যাওয়ার পরেই, প্রেমিকাকে অত্যাচার করা শুরু করেন তিনি। অভিযুক্ত বিপিনের বিরুদ্ধে গত বছর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তাঁর প্রেমিকা। 

    অন্যদিকে, সম্প্রতি উঠে আসে যোগীর রাজ্যের শিউরে ওঠা ঘটনা। বিয়ের এক দশক পেরিয়ে যাওয়ার পরেও পণের জন্য বর্বোরোচিত আচরণ স্বামীর। আরও পণের দাবিতে স্ত্রীকে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। বর্তমানে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন যুবতী। পণের দাবিতে পরপর গৃহবধূকে জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনায় উত্তাল যোগীরাজ্য। 

    সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আমরোহা জেলায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে নারাংপুর গ্রামে‌। ৩২ বছর বয়সি পারুল স্থানীয় একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর স্বামী দেবেন্দ্র পুলিশ কনস্টেবল। সম্প্রতি রামপুর থেকে বরেলিতে বদলি হয়ে এসেছিলেন। দিন কয়েক ছুটি নিয়ে বাড়িতেই ছিলেন দেবেন্দ্র। পণের দাবিতে স্ত্রী পারুলকে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দেবেন্দ্র ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। 
  • Link to this news (আজকাল)