এই রোদ, এই বৃষ্টি, কিছুক্ষণেই দুর্যোগ শুরু হবে এই ছয় জেলায়, হাতে ছাতা রয়েছে তো? ...
আজকাল | ২৯ আগস্ট ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: ক্যালেন্ডারের হিসেবে শরৎ কাল এসে গিয়েছে। এক একবার মেঘের অবস্থা দেখে তা বোঝা যাচ্ছে না তেমনটা নয়, তবে বেশিরভাগ সময়েই আকাশ যেন ফিরে যাচ্ছে পুরনো বর্ষার কাছেই। আকাশে পেঁজা মেঘ ভেসে বেড়ানোর কিছু পরেই, কালো মেঘ উড়ে আসছে। জুড়ে বসছে এবং তার পরেই প্রবল বর্ষণ।
বৃষ্টি থেকে এবার যেন ঋতু পেরিয়ে গেলেও কোনও ছাড় নেই। দুর্যোগ উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গজুড়ে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, এই পরিস্থিতি থেকে এখনই রেহাই নেই। শুক্রবার সকালে আবহাওয়া দপ্তরের আপডেট, কিছুক্ষণে ঝেঁপে বৃষ্টি নামতে পারে উত্তরবঙ্গের ছয় জেলায়। তালিকায় দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, উত্তর দিনাজপুর। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, এই কয়েকটি জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে হালকা তেকে মাঝারি বৃষ্টি, বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে বইতে পারে দমকা বাতাস। বাতাসের গতবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত। শনিবার শুধুমাত্র আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এই দুই জেলায় হলুদ সর্তকতা রয়েছে। বাকি জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
অন্যদিকে, দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় শুক্রবার হলুদ সতর্কতা। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর চব্বিশ পরগনা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম, পুরুলিয়া, নদিয়ায় আজ হলুদ সতর্কতা। এই সব জেলাতেই, হালকা থেকে মাঝারি, বজ্রবিদ্যুতের সঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা। বাঁকুড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই দুই জেলায় ৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হতে পারে। শনি রবিবারেও দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা। জারি হলুদ সতর্কতা। তবে এখন আর দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলেই খবর মৌসম ভবন সূত্রে। তবে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, শুক্রবার দিনভর, খাস কলকাতার আকাশ অংশত মেঘলা থাকবে। শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা তাকবে ৩০.৮ ডিগ্রি যা স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় দুই ডিগ্রি কম। অন্যদিকে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৭ ডিগ্রি। যা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল, ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বর্তমানে বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপটি দক্ষিণ দিকে ঝুঁকে রয়েছে। ক্রমশ তা পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোবে। মৌসুমী অক্ষরেখা বাংলা থেকে সরে ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশার ওপর দিয়ে বিস্তৃত। আগামী দু'দিনে তা সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। যার প্রভাব রয়েছে ওড়িশা সংলগ্ন এলাকায়। এই অক্ষরেখা গঙ্গানগর, সিরসা, ডাটিয়া ও ডালটনগঞ্জের উপর দিয়ে ওড়িশা ও বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে পূর্ব ও মধ্য বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। যদিও তার জেরে আপাতত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। কিন্তু একটানা বৃষ্টি হতে পারে।