• একদিকে পাকিস্তান জলে থৈ থৈ, অন্যদিকে পরিচ্ছন্ন সুসংগঠিত ভারত, সীমান্তের ভিডিও ভাইরালে আলোড়ন নেটপাড়ায় ...
    আজকাল | ৩০ আগস্ট ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: পাকিস্তানে সম্প্রতি ভারী বৃষ্টিপাত। এহেন প্রবল বর্ষনের জেরে আকস্মিক বন্যার প্রেক্ষাপটে, ওয়াঘা-আটারি সীমান্ত থেকে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এই ভিডিও এখন দেশজুড়ে আলোচনার সৃষ্টি করেছে। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, পাকিস্তানের সীমান্ত অঞ্চল জলে থৈ থৈ। চারিদিক জলমগ্ন অবস্থায় রয়েছে, এমনকী জলের মাঝে আবর্জনার স্তূপ দেখা যাচ্ছে। এর বিপরীতে আবার ভারতের অংশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং সুসংগঠিত অবস্থায় রয়েছে।

    সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এই ভিডিওটি বিটিং রিট্রিট অনুষ্ঠানের সময় ধারণ করা হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। অর্থাৎ যা পতাকা নামানোর রোজকার নিয়মমাফিক অনুষ্ঠানের ঠিক আগে হয়। সেখানে দেখা গিয়েছে, পাকিস্তানি রেঞ্জাররা গোড়ালি-সমান জলের মধ্যে দিয়ে নিয়মিত কুচকাওয়াজে অংশ নিচ্ছেন। তাদের পাশে কিছু জায়গায় বালির বস্তাও রাখা ছিল। অন্যদিকে, ভারতীয় অংশে কোন জলাবদ্ধতা ছিল না বললেই চলে, শুধু সীমান্ত গেটের কাছাকাছি সামান্য জল দেখা গিয়েছে।

    এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে৷ এই ঘটনার জেরে ইতিমধ্যেই পাকিস্তানকে নিয়ে নানা ট্রল ও বিদ্রুপ শুরু হয়। অনেকেই মনে করেছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের সাম্প্রতিক মন্তব্য, যেখানে তিনি ভারতকে একটি ঝকঝকে মার্সিডিজ আর পাকিস্তানকে কাঁকরভর্তি একটি ডাম্প ট্রাকের সঙ্গে তুলনা করেন। ভিডিও দেখে এক ব্যবহারকারী মন্তব্য করে বলেন, 'এটা আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত। এক পাশে ঝকঝকে মার্সিডিজ, আর অন্য পাশে ডাম্প ট্রাক। প্রকৃতিও যেন পাকিস্তানকে বিদ্রুপ করছে।' অন্য একজন লেখেন, 'ওয়াঘা সীমান্তে দৃশ্যপট- স্পষ্টত একপাশে উন্নয়ন, অন্যপাশে অব্যবস্থাপনা।'

    সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, সেনাপ্রধান মুনির জুলাই মাসে এক অনুষ্ঠানে বলেন, 'আমি একটি রূঢ় উপমা ব্যবহার করব। ভারত একটি ঝকঝকে মার্সিডিজের মতো, যা হাইওয়েতে ফেরারির মতো চলেছে। আর আমরা কাঁকরভর্তি একটি ডাম্প ট্রাক। যদি এই ট্রাক মার্সিডিজকে ধাক্কা মারে, তাহলে আসলে ক্ষতিগ্রস্ত কে হবে?'

    অন্যদিকে, পাকিস্তানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, ভারতের সীমান্ত অংশে গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড (GT Road)-এর উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে পাকিস্তানে ভয়াবহ জল জমে যাচ্ছে। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, পাকিস্তান এই সমস্যা নিয়ে ভারতের সঙ্গে ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছে।

    ভারতের বিএসএফ (সীমান্তরক্ষী বাহিনী)-এর পাঞ্জাব ফ্রন্টিয়ারের আইজি অতুল ফুলজেলে সংবাদমাধ্যমে জানান, '৮-৯ অগাস্ট ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছিল। সম্ভবত সেই সময়ের ভিডিও এটি।' তিনি আরও বলেন, 'ওয়াঘা, হুসাইনিওয়ালা ও সাদকি- এই তিনটি পতাকা নামানোর অনুষ্ঠানের কোনও স্থানেই জলাবদ্ধতা হয়নি।'

    তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই দৃশ্য আন্তর্জাতিক পরিসরেও নজর কেড়েছে। ভিডিওটি একদিকে সীমান্তবর্তী অবকাঠামোগত ব্যবধান স্পষ্ট করেছে, অন্যদিকে তেমনই অঞ্চলভিত্তিক পরিকল্পনা ও রক্ষণাবেক্ষণের পার্থক্যও তুলে ধরেছে।
  • Link to this news (আজকাল)